গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা ও সাংবাদিকতা নিয়ে লেখা এই আর্টিকেলটি ।গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা এবং গণমাধ্যম অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা
গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যম (যেমন- টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক মাধ্যম ইত্যাদি) কার্যকরভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো একটি সংগঠন বা ব্যক্তির বার্তা সর্বাধিক সংখ্যক লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের মধ্যে সঠিক ধারণা সৃষ্টি করা।
গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা কী? |গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা | গণমাধ্যম অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা
ভূমিকা:
গণমাধ্যম হলো বিশাল জনগোষ্ঠীর সাথে বার্তার আদান-প্রদানের যন্ত্রনির্ভর প্রক্রিয়া। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেও ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বেশকিছু কর্ম সম্পাদন করতে হয়। এদের মধ্যে মাধ্যম ব্যবস্থাপনা অন্যতম। কোন প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে সেক্টরে ভাগ করে লক্ষ্য অর্জনের প্রক্রিয়াই মাধ্যম ব্যবস্থাপনা। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির প্রতিযোগিতামূলক বিশে টিকে থাকা ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি মিডিয়া প্রতিষ্ঠানকে এটি জানা ও সে অনুসারে কাজ করা জরুরি।
১.গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা:
প্রত্যেক গণমাধ্যম তথ্য জানিয়ে জনগণকে শিক্ষিত করে প্রভাবিত করে নিজের পক্ষে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এছাড়াও তাদের কিছু আর্থ-রাজনৈতিক লক্ষ্য থাকে। এসব কারণে গণমাধ্যকে তার বিভিন্ন কাজ, প্রকৃতি ও গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ করে। এ সামগ্রিক প্রক্রিয়াই মাধ্যম ব্যবস্থাপনা। অর্থাৎ মাধ্যমের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজগুলোকে বিভিন্ন ভাগে
যেমন-বিজ্ঞাপন, জনসংযোগ, সংবাদ ভাগ করে কর্মপ্রচেষ্টাকে মাধ্যম ব্যবস্থাপনা বলে।
Martin G Evans এ সম্পর্কে বলেন,
“Media Management is the process of achieving the goals of a media organization by utilizing people and other resources like media product, advertising, public relation, selling, audiences, planning of media production etc.” (Evans, Martin G. (1970), Academy of Management Journal, pp-91).
Robert R Blake এর মতে, গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা হলো যে কোনো ঘণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রথমিকি লক্ষ্য মাত্র অর্জনের জন্য বিদ্যমান ও উৎপাদিত সম্পদের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন।
অতএব বলা যায় যে, গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা হলো অধ্যয়নের একটি শাখা যেখানে মিডিয়া পণ্য,মালিকানা, নীতি, বাজারজাতকরণ, পরিকল্পনা, বিজ্ঞাপনদাতা, টার্গেট অডিয়েন্স, জনসংযোগ, প্রচার, বিক্রয়, পণ্যের মানোন্নয়ন ইত্যাদির কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে তা নির্ধারণ করা হয়।
মাধ্যম ব্যবস্থাপনা অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
ক. পুরাতন ও নতুন মাধ্যম প্রযুক্তি সংক্রান্ত ধারণা:
মানবসভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই মাধ্যম বিদ্যমান থাকলেও বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির অভূতপূর্ব অগ্রগতিতে আধুনিক মাধ্যমের উদ্ভব ঘটেছে। পণ্য উৎপাদন, মানোন্নয়ন, বাজারজাতকরণ ইত্যাদিতে অনেক পার্থক্য ফুটে উঠেছে। বিভিন্ন সফটওয়্যার ও সামাজিক সম্পর্কজাল নেটওয়ার্কগুলোও এনে দিয়েছে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য। গতি প্রকৃতির পরিবর্তনের কারণে বাজার বিশ্লেষণ, বিপনন কলাকৌশল, টার্গেট অডিয়েন্স এবং তাদের চাহিদা, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা ইত্যাদি জানা ও বোঝা এবং সে অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যম ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন জরুরি।
খ. মাধ্যম কোম্পানীগুলোর দায়-দায়িত্ব:
সমাজের সব ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোকে জনগণকে জানিয়ে শিক্ষিত করে সমাজ ও মানুষের কল্যাণে অবদান রাখা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। পণ্য প্রতারণা যেন না হয় সেদিকে নজর রাখাও গণমাধ্যম ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব। গণমাধ্যম তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে তার সীমারেখা যেন লঙ্ঘিত না হয় সে সম্পর্কে জানা ও মানার জন্য গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন গুরুত্বপূর্ণ।
গ. মাধ্যম ব্যবস্থাপকের কার্যাবলী:
মিডিয়া ব্যবস্থাপক হলেন সেই ব্যক্তি যিনি পণ্য উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয়সহ সার্বিক মনিটরিং এবং পরিচালনায় কাজ করে। গণমাধ্যম ব্যবস্থাপকের কাজ সম্বন্ধে ধারণা দেয় গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা। কর্মকর্তা-কর্মচারি, পণ্য, সুযোগ-সুবিধা, অসুবিধা, বেতন, দক্ষতা, নেতৃত্ব সম্পর্কেও ধারণা দেয় এই গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা। বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি সফলভাবে সম্পাদনের জন্য দক্ষতা ও কৌশল অর্জনের জন্য বিষয়টি অধ্যয়ন জরুরি।
ঘ. পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া:
একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, বিকাশ ও অব্যাহত রাখার জন্য অবশ্যই পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। কোন পণ্য কীভাবে, কোন সময়ের জন্য, কোন ইস্যু কীভাবে কাভারেজ পাবে বা পাবে না, সেটির ধরন কেমন হবে থেকে শুরু করে পাঠক-দর্শক চাহিদা বিবেচনায় নেওয়ার জন্য এটি অধ্যয়ন জরুরি। এটি অধ্যয়নের ফলে কার্যকরভাবে মিডিয়া পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যায়।
ঙ. অর্থ ব্যবস্থাপনা:
সমাজের মানুষের প্রতি দায়-দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের জন্য মিডিয়া প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই অর্থ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি বিষয়। মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সফলতা-ব্যর্থতা অনেকখানি এর উপর নির্ভর করে। এজন্য বাজেট প্রণয়ন, কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগ, যন্ত্রাদি ও অন্যান্য বিষয় থেকে প্রাপ্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব করে এটি প্রণয়ন করতে হয়। সার্বিক দিক থেকে কাজটি করার জন্য গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনার জ্ঞান দরকার। কারণ এটি আমাদের সার্বিক কাজে দক্ষ করে তোলে এবং কার্যকর বাজেট প্রণয়ন ও অর্থ ব্যবস্থাপনা করতে শেখায়। প্রতিষ্ঠানকে টিকে রাখার জন্য এ জ্ঞানের বিকল্প থাকতে পারে না।
চ. মানুষের সাথে কাজ:
যে কোনো মিডিয়া প্রতিষ্ঠান মানুষ ও মেশিন-এ দু’য়ের সংমিশ্রণে গড়ে উঠে। মেশিন রীতি-নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধহীন হওয়ায় কমান্ড অনুসারে কাজ করে। কিন্তু মানুষের রয়েছে বোধ-বুদ্ধি, আবেগ ইত্যাদি। সবার সাথে সমতা বজায় রেখে মানুষের সাথে কাজ করতে হয়। এজন্য মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার নানা বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হয়। মিডিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টদের টিমওয়ার্ক সফলভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রণোদনা, দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করতে হয় গণমাধ্যম ব্যবস্থাপককে। এছাড়া দর্শক-শ্রোতার চাহিদা ও অধিকার অনুসারে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য সমন্বিতভাবে কার্যক্রম জরুরি।
ছ. বাজারজাতকরণ:
অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ন্যায় মিডিয়ার বাজারজাতকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ের মধ্যে বাজারজাতকরণের গুরুত্ব বেশি। এজন্য বাজারের অবস্থা, ধরন, ক্রেতার বয়স, শিক্ষা, লিঙ্গ, আয় ইত্যাদির দিকে নজর দিতে হয়। সবার জন্য একই পণ্য গ্রহণযোগ্য হয় না। মোটকথা ভোক্তা, বিজ্ঞাপনদাতা ও মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক ধরনের সেতুবন্ধনের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে হয়। বিজ্ঞাপনদাতা ও ভোক্তাদের তথ্য সংগ্রহ ও বিক্রি, বার্তা প্রস্তুত, বার্তা উৎপাদন, দর্শক শ্রোতাদের মাঝে তা বিক্রয় ও বিচ্ছুরণ হলো বাজারজাতকরণের মূল কাজ। যা করার জন্য গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা জানাটা খুবই জরুরি।
জ. পণ্যের মানোন্নয়ন:
যে কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা ও সবার গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য উন্নত পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করাটা জরুরি। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক সবকিছু সমন্বয় সাধন করে দর্শক-শ্রোতা ধরে রাখাও চ্যালেঞ্জ। আবার ধরে রাখার পাশাপাশি অডিয়েন্স বৃদ্ধিরও তাগিদ থাকে ব্যবস্থাপকের উপর। এসব বিষয়ে কৌশলী হওয়ার জন্য গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানা দরকার।
ঝ. উৎপাদন, মূল্য নির্ধারণ ও বন্টন:
এক্ষেত্রে দর্শক শ্রোতার চাহিদা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় নিতে হয় এবং নানা কৌশল রপ্ত করতে হয়। এগুলো জানার জন্য গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন দরকার।
ঞ. বাজার বিশ্লেষণ ও পণ্য পরিকল্পনা:
যে কোনো পণ্য বাজারে যোগানের পূর্বে বিদ্যমান বাজার বিশ্লেষণ করতে হয় এবং সে অনুযায়ী পণ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। মিডিয়া পণ্যের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। বাজারে নানারকম দর্শক-শ্রোতা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অবস্থান করে। ভোক্তা ও বিজ্ঞাপনদাতার ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থাকে। তাই সকলের নিকট সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য বাজার বিশ্লেষণ ও পণ্য পরিকল্পনা করতে হয়। এজন্য মিডিয়া ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন অত্যাবশ্যক।
ট. মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য অনুধাবন:
গণমাধ্যম একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় মুনাফা অর্জন করলেও একে সমাজের দর্পণ, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সমাজ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন ও শিক্ষিত করে তুলতে হয়। এসব দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গণমাধ্যমের মুনাফার অর্জনটি অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মতো নয়। এ বিষয়টি বোঝার জন্য গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখা জরুরি।
ঠ. আইনগত বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ:
মিডিয়া ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন যেমন- পণ্য সংরক্ষণ, উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, অভিযোগ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপনদাতার সাথে চুক্তি, প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন, বিভিন্ন পলিসি সম্পর্কে জানার জন্য মিডিয়া ব্যবস্থাপনা জানাটা জরুরি।
ড. সামাজিক দায়িত্ব:
গণমাধ্যম মুনাফা অর্জন করলেও তা সামাজিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে করে থাকে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যা সচরাচর লক্ষ্য করা যায় না। পিটার এম স্যান্ডম্যান এর মতে, ‘অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে মিডিয়ার সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো তার দায়িত্বশীলতা। সমাজের প্রতি, সমাজের মানুষের প্রতি দায়বোধ না থাকলে মিডিয়া অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আলাদা কিছু নয়।’ আর মিডিয়ার সামাজিক দায়িত্বসমূহ জানার জন্য মিডিয়া ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন জরুরি।
উপসংহার:
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, মিডিয়া ব্যবস্থাপনা হলো অধ্যয়নের এমন একটি বিষয় যা মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক বিষয় পরিচালনার একটি প্রক্রিয়া। এতে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, বিকাশ, সাফল্য, ব্যর্থতা, রীতি-নীতি, কৌশল ইত্যাদি সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়। ফলে যে কোন প্রকার মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের অব্যাহত সাফল্য অর্জনের জন্য মিডিয়া ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন অত্যাবশ্যকীয়।
ইচ্ছাব্লগ এটি একটি প্রযুক্তি সম্পর্কিত টিউটরিয়াল এবং গাইড প্রদান করি থাকি। এই খানে যে কেও পড়তে ও লিখতে পাড়ে। ফিচার,ছোটগল্প,কবিতা, আপনার জীবনের গল্প ইত্যাদি আপনার পছন্ডের লেখা পাঠাতে সরাসরি যোগাযোগ করেন। আমাদের প্রতিনিধি যাচাই করে আপনার সাথে যোগা করবে। লেখা জমা নিচ্ছে 👉
আপনি সরাসরি ইমেইল করতে পারেন 👉 ‘ icchablog@gmail.com’
লিখাটি ভালো লেগলে অবশ্যই কমেন্ট এবং আপনার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার দিতে পাশে থাকবেন।
ইচ্ছাব্লগ ডট কম/এম.এম
COMMENTS