স্বর প্রক্ষেপণ, Udara Mudara Tara আবৃত্তি একাডেমি’র ক্লাস নোট -৩ । কণ্ঠস্বরকে পরিষ্কার ও স্পষ্টভাবে দূরে পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা।
স্বর প্রক্ষেপণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে যেখানে কোনও কাহিনী বা বিষয়বস্তু সহজ এবং স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়। এই উপস্থাপনের বিভিন্ন মাধ্যম হতে পারে যেমন, বক্তৃতা মাধ্যমে, লেখা মাধ্যমে, গান করার মধ্যমে বা অভিনয় করার মাধ্যমে।
স্বর প্রক্ষেপণ | Udara Mudara Tara | আবৃত্তি একাডেমি’র ক্লাস নোট -৩
স্বরের তিনটা স্তর
১. উদারা |
২.মুদারা |
৩.তারা |
উদারা হল স্বরের সবচেয়ে গভীর স্তর। এই স্বরটি পেট থেকে উৎপন্ন হয়।অনেকটা উদ্দর দিয়ে। স্পষ্ট এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। কিন্তু উদারা থেকে কথা বলতে শিখতে কিছুটা সময় এবং অনুশীলন লাগতে পারে।
মুদারা এই হলো স্বরের মাঝারি স্তর। এটি বুক থেকে উৎপন্ন হয়। আমরা সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে মুদারা থেকে কথা বলি। এটি বলতে স্বাভাবিক এবং সহজ হয়।
তারা হল স্বরের সবচেয়ে উচ্চ স্তর। এটি গলা থেকে উৎপন্ন হয়। তারা থেকে কথা বললে স্বর তীক্ষ্ণ এবং উচ্চ হয়। তবে দীর্ঘ সময় তারা থেকে কথা বললে গলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কেন উদারা, মুদারা এবং তারা সম্পর্কে জানা জরুরি?
উদারা, মুদারা এবং তারার সঠিক ব্যবহার সুন্দর এবং আকর্ষণীয় স্বর তৈরি করতে সাহায্য করে।
উদারা থেকে কথা বললে স্বরের শক্তি বৃদ্ধি পায়, যা বক্তৃতা, গান বা নাটকে উপকারী।
সঠিক স্বর ব্যবহার গলাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
উদারা, মুদারা এবং তারা ব্যবহারের ক্ষেত্র
গায়করা বিভিন্ন ধরনের স্বরের স্তর ব্যবহার করে গানকে আরো সুন্দর করে তোলে।
অভিনেতারা চরিত্র অনুযায়ী বিভিন্ন স্তরের স্বর ব্যবহার করে।
বক্তারা স্বরের শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে উদারা ব্যবহার করতে পারেন।
স্বর প্রক্ষেপণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
স্পষ্ট এবং শক্তিশালী কণ্ঠস্বর শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং আপনার বক্তব্যকে আরও প্রভাবশালী করে।
যখন আপনি নিজের কণ্ঠস্বর নিয়ে নিশ্চিত থাকেন, তখন আপনি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
সঠিক স্বর প্রক্ষেপণের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করা হয়, যা শরীরের জন্য উপকারী।
শিক্ষক, বক্তা, গায়ক, অভিনেতা, সাক্ষাত্কার, সভা-সমাবেশ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই স্বর প্রক্ষেপণের গুরুত্ব রয়েছে।
স্বর প্রক্ষেপণের উপকারিতা
- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি
- স্বাস্থ্যের উন্নতি
- ভালো উপস্থাপনা
- ব্যক্তিত্ব উন্নয়ন
- পেশাগত জীবনে সফলতা ৎ
আমারা দম নেওয়া সময় ৩টি ধরণের শ্বাস নিয়ে থাকি।
১। সা-রে গা মা পা দা নি চা২। চা নি দা পা মা গা রে চা৩। সা রে গা, রে গা মা, গা মা পা, মা পা ধা, পা দা নি, দা নি চা।৪। চা নি ধা, নি দা পা, ধা পা মা, পা মা গা, মা গা রে, গা রে সা।৫। সারে গামা, রে গা মা পা, গা মা পা ধা, মা পা ধা নি, পাদা নিসা,৬। সানি ধা পা, নি ধা পা মা, ধা পা মা গা, পামা গা রে, মা গা রে সা,৭।সারে গা মা পা,রে গা মা পা ধা, গা মা পা ধা নি, মা পা ধা নি সা,৮। সানি ধা পা মা,নি ধা পা মা, ধা পা মা গা রে, পা মা গা রে সা।৯। সানি ধানি সাগা, সারে গামা গারে সা,গামা পা নিধা পা২), গামা পাম গারে সা , গামা ধানি সা সা, রে রে রে নি রে সা , গা গা গা রে রে সা, মা গা গা রে রে সা, সা সা নি নি ধা ধা পা পা, গা মা পা মা গা রে সা।নিরে সা নিরে সা
ইচ্ছাব্লগ এটি একটি প্রযুক্তি সম্পর্কিত টিউটরিয়াল এবং গাইড প্রদান করি থাকি। এই খানে যে কেও পড়তে ও লিখতে পাড়ে। এইখানে ফিচার,ছোটগল্প,কবিতা, আপনার জীবনের গল্প ইত্যাদি আপনার পছন্ডের লেখা পাঠাতে সরাসরি যোগাযোগ করেন। আমাদের প্রতিনিধি যাচাই করে আপনার সাথে যোগা করবে। লেখা জমা নিচ্ছে 👉
আপনি সরাসরি ইমেইল করতে পারেন 👉 ‘ icchablog@gmail.com’
লিখাটি ভালো লেগলে অবশ্যই কমেন্ট এবং আপনার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার দিতে পাশে থাকবেন।
ইচ্ছাব্লগ ডট কম/এম.এম
COMMENTS