নতুন আতঙ্ক রাসেলস ভাইপার! | রক্ষা পেতে করণীয় দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়ঙ্কর রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে চলছে। রাসেল ভাইপার সাপের আক্রমণে আতঙ্কে দি
নতুন আতঙ্ক রাসেলস ভাইপার! | রক্ষা পেতে করণীয়
দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়ঙ্কর রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে চলছে। রাসেল ভাইপার সাপের আক্রমণে আতঙ্কে দিন পার করছেন সাধারণ মানুষ। মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও কৃষির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক।
রাসেল ভাইপারের বাংলা নাম চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া। বাংলাদেশে অল্প যে কয়েকটি সাপ বিষধর, তার মধ্যে এটি অন্যতম। বাংলাদেশে দুই দশক আগে বিলুপ্ত ঘোষণা করা রাসেলস ভাইপার আরর নতুন করে আতঙ্ক জন্ম দিচ্ছে।
বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে এ সাপ বেশি দেখা যায় এবং এটি ভারতের সবচেয়ে বড় চারটি সাপের মধ্যে এটি একটি। রাসেল ভাইপারের শরীরে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকে। আর অজগরের শরীরজুড়ে লম্বা রেখার মাঝে গোল গোল চিহ্ন থাকে। বিষধর হিসেবে রাসেলস ভাইপার বিশ্বে পঞ্চম স্থানে থাকলেও হিংস্রতা আর আক্রমণের দিক থেকে প্রথম অবস্থান।
রাসেল ভাইপার চিনবেন যেভাবে
রাসেল ভাইপার সাপটি ‘চন্দ্রবোড়া’ নামেও পরিচিত। দেখতে মোটাসোটা তবে লেজ সরু হয়ে থাকে। মাথা ত্রিভুজাকার এবং ‘V’ আকৃতির সাদা রেখা আছে। শরীরের পৃষ্ঠতল বাদামী এবং বৃত্তাকার বা ডিম্বাকৃতির গাঢ় চিহ্নের তিনটি লম্বা সারি রয়েছে।
বিশেষ কিছু লক্ষণীয়
সাপটি লম্বায় তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাথার তুলনায় ঘাড় বেশ সরু। এর গায়ের রং হালকা হলদে বাদামী। ফলে শুকনো ঘাস-পাতার মধ্যে নিজেকে সহজেই লুকিয়ে রাখতে পারে।
সাধারণত মে-জুলাই মাসে এর প্রজননকাল। স্ত্রী সাপ ডিম দেওয়ার পরিবর্তে সাধারণত ৫-৫০টি বাচ্চা প্রসব করে।’
রাসেলস ভাইপারের বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী
রাসেলস ভাইপার সাপের বিষ অত্যন্ত শক্তিশালী। রাসেলস ভাইপার সাপের বিষের প্রভাবে সাধারণত তীব্র ব্যথা, রক্তপাত, এবং কখনও কখনও মৃত্যুও হতে পারে। এ সাপের বিষ অত্যন্ত বিষাক্ত এবং এটি মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
রাসেলস ভাইপার কামড়ালে করণীয়
এই সাপের কামড়ানো রোগীকে এক ধরনের ‘অ্যান্টিভেনম’ দেওয়া হয়। এই অ্যান্টিভেনম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় এটি একটি এসেনশিয়াল ড্রাগ যা বাংলাদেশে উৎপাদন হয় না, এটি ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
চিকিৎসকদের মতে, রাসেল ভাইপারের কামড়ে যদি দাঁত বসে যায়, তাহলে ক্ষতস্থানের ওই জায়গাটিসহ ওপর-নিচের খানিকটা জায়গা নিয়ে হালকা করে ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হবে। নড়াচড়া করা যাবে না। রোগীকে সাহস দিতে হবে। হাঁটা-চলাচল একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে রক্ত চলাচলটা একটু কম হয়। এভাবে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
রাসেলস ভাইপার নিয়ে বন বিভাগের পরামর্শ
১. যথাসম্ভব সাপ এড়িয়ে চলুন, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা নিকটতম বন বিভাগ অফিসে খবর দিন।
২. যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৩. রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।
৪. সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।
৫. অ্যান্টি ভেনম (Anti Venom) নিকটস্থ হাসপাতালেই পাওয়া যায়।
ইচ্ছাব্লগ এটি একটি প্রযুক্তি সম্পর্কিত টিউটরিয়াল এবং গাইড প্রদান করি থাকি। এই খানে যে কেও পড়তে ও লিখতে পাড়ে। এইখানে ফিচার,ছোটগল্প,কবিতা, আপনার জীবনের গল্প ইত্যাদি আপনার পছন্ডের লেখা পাঠাতে সরাসরি যোগাযোগ করেন। আমাদের প্রতিনিধি যাচাই করে আপনার সাথে যোগা করবে।
ভিডিও নিউজ এর সাথে যুক্ত থাকতে
লেখা জমা নিচ্ছে 👉
আপনি সরাসরি ইমেইল করতে পারেন 👉 ‘ icchablog@gmail.com’
লিখাটি ভালো লেগলে অবশ্যই কমেন্ট এবং আপনার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার দিতে পাশে থাকবেন।
ইচ্ছাব্লগ ডট কম/এম.এম
COMMENTS