পরিক্ষা নিয়ে টেশষনে আছেন? পড়তে ভালো লাগছে না? কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? বার বার গুগল সার্চ করছেন? কোন সঠিক পরামর্স পাচ্ছেন না? এক দম শঠিক...
পরিক্ষা নিয়ে টেশষনে আছেন? পড়তে ভালো লাগছে না? কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? বার বার গুগল সার্চ
করছেন? কোন সঠিক পরামর্স পাচ্ছেন না? এক দম শঠিক জায়গায় টেপ অপেন করছেন। আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু টেকনিক শিখেয়ে দিবো যাতে করে আপনার পরিক্ষায় পাশ করা পানির মতো সহজ হয়ে যাবে। এমন টা টাইটেল পড়েই হয়তো অবাক হয়েছ!
মনে প্রশ্ন জেগেছে, না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করা কোন টেকনিক আছে নাকি আবার?
যেহেতু আপনি পরীক্ষায় পাশ করার টেকনিক গুগলে সার্চ করে আমার এই ব্লগ-পোষ্ট পেয়েছেন, তাই দৈয্য ধরে আপনি পুরো লিখাটা পড়ুন আশা করি উপকৃত হবেন।
প্রথমে আপনি ধরে নিতে পারেন আপনার মাঝে অলসতা আছে আপনি অলসতা করেও পাশ করতে পারেন কীভাবে?
না পড়ে পরীক্ষায় পাশ করার নিনজা টেকনিক..
i.নিয়মিত হন: আপনাদের এখন প্রায় মুখস্থ্য প্রতিটা শিক্ষক/ শিক্ষাকা বলে নিয়মিত হও নিয়মিত হও। হ্যা আমরাও বলবো নিয়মিত হন। ক্লাসের শিক্ষক/শিক্ষকরা কখনো আপনানে ফেল করানোর উপেক্ষায় বসে থাকে না। আপনি যে ছাত্র প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকেন সে ছাত্র কখনোই পরীক্ষায় ফেল করে না।
বরং আমরা গেরান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনি সুধু ক্লাসে উক্তিতে ক্লাসের অধিকাংশ শিক্ষার্থী সন্দেহ পোষণ করে। মজার বিষয় হলো,আমিও তখন বিশ্বাস করতে পারবেন না। কিন্তু ব্যাপারটি এখন বুঝি। যদি তুমি ক্লাসে নিয়মিত হও তাহলে প্রতিদিন অন্তত শিক্ষকের ১০টি কথা শুনবে মনোযোগ সহকারে, পড়েন আপনারা কি করছেন? আপনাদের লক্ষ তো ঠিক নাই ইত্যাদি যা আপনি না শুনতে চাইলেও শুনবেন।
দরেন আপনি বছরে ৩৬৫ দিন এর মধ্যে আপনি যখন প্রতি দিনে ১০ করে ভালো কথাও সুনেন তাহলে আপনার ৩৬৫* ১০ = ৩৬৫০ টি কথা আপনি মনোযোগ সহকারে সুনেন। তাহলে ভেবে দেখেন, আপনাকে পড়া ছাড়াই ফ্রিতেই ৩৬৫০ টি কথা শুনছেন এবং শিখছেন। আর শিক্ষকেরা যখন মোটিভেশন কথা বলবে তখন আপনি নিজেই যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন।
এগুলোর কথা নাই বললাম। আপনি যতই দুষ্টুমি করোন না কেন দুষ্ট-মীরও একটা লিমিট আছে। একটা সময় আসবে নিজেকে নিয়ে ভাবার। সেদিন হয়তো আপনি কি করছেন জীবনে হায় হুতাস বা ভাবা তৈরি হবে সে আমার বন্ধরা সভাই পড়া পারে আমি পারি না কেন?
তখন দুষ্টুমি করতে করতে আর ভালো লাগবে না আপনার তখন এমনিতেই বই হাতে নিয়ে একটু চেষ্টা করবেন। তাই আপনি পড়েন আর আপনি ভালো রেজাল্ট করতে চান তাহলে নিয়মিত হওয়ার বিকল্প নেই!
ii.মনোযোগী হন: মনোযোগী হওয়া যতটা কঠিন আমরা ভাবি, ততটা আসলে কঠিন নয়। আমরা একটু চেষ্টার মাধ্যেই ভালো হওয়া সম্ভব। আমি ছাত্র জীবনে এমনও অনেক শিক্ষক পেয়েছি যারা বলে,তোমার কিছু করা লাগবে না শুধু আমার কথা গুলো মনোযোগ সহকারে শুনেন।
স্যার আমাদের পড়া না পাড়লে কখনোই বকা দিত না বরং যখন আমরা অমনোযোগী হয়ে অন্যদের সাথে গল্প করতাম তখন আমাদের প্রশ্ন করতো প্রশ্নের উত্তর সঠিক না বলতে পারলে আমাদের সামান্য বকা দিতো। বেশি রাঙ্গান্তিত হলে রাম থেরাপিও দিতো।
এভাবেই এক সময় দেখা গেলো তার ক্লাসের সব শিক্ষার্থীরা খুবই মনোযোগী স্যার বলতো, আপনার যত গল্প/প্রশ্ন আছে তা আপনি আমার কাছে বলেন কিন্তু পাশের কাউকে বলা যাবে না!
আরও পড়ুন: সহপাঠীর সাথে প্রেম
বছর শেষে দেখা গেলো ,আমি তার সাবজেক্টেই ভালো রেজাল্ট করলাম।
একজন শিক্ষক বছরে একই লেকচার বার বার রিপিট করে। অন্যদিকে কঠিন বিষয়কে সহজ করে দেয়। স্যার যদি ক্লাসে গল্প করে তবেও মনোযোগ সহকারে শুনবে। মূলকথা হলো,শিক্ষকের ব্যাপারে সন্দেহ করা যাবে না। এক শিক্ষকের সাথে অন্য শিক্ষকের তুলনা করা যাবে না।
অন্যদিকে অনেকক্ষণ শিক্ষকের দিকে চেয়ে থাকলে গাড় ব্যথা করে যা মনোযোগ নষ্ট করে। এ সমস্যা প্রায় শিক্ষার্থীর! এর থেকে পরিত্রাণ পেতে তোমাকে একটু ট্রিক খাটাতে হবে। অনেকক্ষণ চেয়ে না থেকে প্রতি ২ মিনিট পর পর অন্যদিকে চাইতে পারো। আবার একাধারে অনেকক্ষণ বসে থাকলে শরীর কেমন জানি করে। এক্ষেত্রে আপনি ক্লাস ব্রেক এর সময় একটু হাটাহাটি করতে পারো।
যথাসম্ভব চেষ্টা করো ভালো শিক্ষার্থীরা যেখানে দিনে ৩-৪ ঘণ্টা পড়ে সেখানে আপনিও নিয়মিত ৩০ মিনিট পড়ো।
আমাদের বড় একটি অজুহাত হলো ,তার ব্রেন খুব ভালো তাই সে ভালো ছাত্র। সে ৩-৪ ঘণ্টা পড়তে পারলে আপনি কেন পারবে না। আপনি যতক্ষণ পড়তে পারো ততক্ষণই পড়েন। যতটুকু পারো ততটুকুই করো দুনিয়াতে পরিশ্রম ছাড়া কেউই সফল হয়নি। সফল হতে চাইলে পরিশ্রম করতেই হবে। আপনি যতটুকু চেষ্টা করবে কেবল ততটুকুই ফল পাবে। যদি আপনি নিয়মিত হতে পারো তাহলে ৩০ মিনিট কোনও ব্যাপারই না। তখন এমনিতেই পড়তে ইচ্ছা করবে।
iii. ধর্মীয় ক্ষেত্রে আরো কর্মশীল হন: আপনি যদি প্রতিদিন নামাজ পড়ো তাহলে নামাজ আপনাকে নিয়মিত করবে,সময়ের মূল্য সম্পর্কে সচেতন করবে।যেহেতু আপনি মনে করেন আপনার ব্রেন খুব দুর্বল তাই আপনি প্রতিদিন আছরের নামাজের পর এই দোয়াটি পড়তে পারেন।
আছরের নামাজের পর বলার কারণ হলো আছরের নামাজের পর দোয়া করলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। চাইলে বই পড়ার আগেও দোয়াটি করতে পারেন।
প্রতিটি ভালো কাজের আগে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া উচিৎ ফলে আল্লাহ বরকত বাড়িয়ে দিবেন।
ছোট গল্প (মিষ্টার মদন ও মিস ব্যাকটেরিয়া)
গল্পটা ছোট বেলা রাজার রানির মতো শুরু করা যাক
একদা এক সময়ে মিষ্টার মদন ও মিস ব্যাকটেরিয়া কোন কাজ করেতে চাইতো না। মেধা ভালো বটে কিন্তু মেধাকে কাজে লাগাতে চাইতো না। সব সময় সহজ টেকনিক টেকনিক খুঁজে বেড়াতো কিভাবে কাজ না করে ভালো থাকা যায়। বলতে গেলে তারা প্রচুর অলসও বলা চলে।
পড়াশোনা তাদের কাছে খুব কষ্টকর মনে হতো। পড়াছাড়া পাশ করা যায় এমন ঔসদ পাওয়া যায় এক দরবেশ বাবার কাছে। মিষ্টার মতন প্রযুক্তিগত দিক থেকে খুব স্মাট দক্ষও বলা চলে গুগল সার্চ করে এক দরবেশ বারার সন্ধান পেলো।
কি ভাবছেন লেখক আপনাকে বুকা বানাচ্ছে না তো? না তেমন টা না ধের্য্য দরে পড়ে যান সমাধান তো একটা আসবেই কথা না বেড়িয়ে গল্পের
গল্পের ২য় পর্ব
মিষ্টার মদন মিস ব্যাকটেরিয়া কে নিয়ে ১৫ দিনের পথ পারি দিয়ে সেই দরবেশ বাবার কাছে পোঁছে।
বাবকে সব খুলে বলল। দরবেশ বাবা বলল, কোনও সমস্যা নেই!
যেহেতু আপনারা আমার কাছে এসেছেন সুরাং আপনাদের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এই নাও তাবিজ। এতে যা লেখা আছে তা মনযোগ দিয়ে বাসায় গিয়ে পড়বেন এবং এটা সবসময় গলায় ঝুলিয়ে রাখবেন। তাবিজ এর হাদিয়া সরুপ ৫ হাজার টাকা।
মিষ্টার মদন আর মিস ব্যাকটেরিয়া তারা দুই জনে হাঁসতে হাঁসতে বাসায় গিয়ে তা অলসে তা আর খুলে দেখল না। আর ভাবলো খুলে দেখার কী আছে।
গলায় ঝুলিয়ে রাখলেই তো সমস্যা সমাধান।
পরীক্ষা নিয়ে আর কোন চিন্তা বা টেনশন নাই। পরিক্ষার সময় সভাই চেষ্টা করে কিন্তু সে চেষ্টা করে না। কারন তার কাছে তো বাবার তাবিজ আছে। এদিকে পরীক্ষাও চলে এলো। পরীক্ষাও ঠিক মত সম্পন্ন করলো।
পরীক্ষার রেজাল্ট এলো তারা দুই জন ফেল! সে প্রচুর রেগে গেল এবং পুলিশ নিয়ে দরতে গেলো দরবেশ বাবার কাছে। বাবা বন্ডামি শুরু করেছে। বাবার দেওয়া তাবিজে এ কোন কাজ হয় না বরং আমার কাজ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে।
পুলিশ এসে যখন দরবেশ বাবাকে গ্রেফতার করতে যাবে সেই সময় দরবেশ বাবা বলল, স্যার আমি যে তাবিজটি তাকে দিয়েছিলাম সেটি তাকে আনতে বলুন।
ছাত্রটি কথা মতো তাবিজ এনে পুলিশ এর হাতে দিলো এবং পুলিশ তাবিজ খুললো। তাবিজের কাগজে লেখা ছিল, না পড়িলে,পাশ করিবে না। অবশেষে মিষ্টার মদন আর মিস ব্যাকটেরিয়া নিজের ভুল বুঝতে পারলো।
উপসংহার: পরিশ্রম সুভাগ্যের প্রসুতি। পরিশ্রম ছাড়া সফল হওয়া যায় না! আর সফল হলেও তার মূল্য লক্ষে পৌছাতে পারবে না। আপনার যতটুকু ক্ষমতা আছে তাই দিয়ে চেষ্টা করেন। আশা করি আপনি সফল হবে ইনশাআল্লাহ।
লেখা জমা নিচ্ছে 👉 : জমা দিন
অথবা ,আপনি সরাসরি ইমেইল করতে পারেন 👉 ‘ icchablog@gmail.com’
জানুন 👉 : আমাদের সম্পর্কে
ফিচার টি ভালো লেগলে অবশ্যই কমেন্ট এবং আপনার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন।
ইচ্ছাব্লগ ডট কম/এম.এম
:::::::::::::::::: ধন্যবাদ ::::::::::::::::::
COMMENTS