ইচ্ছা ব্লগের সকল বন্ধুকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা এবং অভিন্দন আজ আমরা এমন এটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটি ক্যাপসনে দেখে হয়তো আপনাদের সভার জানা...
ইচ্ছা ব্লগের সকল বন্ধুকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা এবং অভিন্দন আজ আমরা এমন এটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো সেটি ক্যাপসনে দেখে হয়তো আপনাদের সভার জানা হয়ে গেলে এই দিনটির সাথে সভার পরিচিত ,আজ ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নতমস্তকে আত্মসমপর্ণ করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। আজ বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। বিশ্ব মানচিত্রে লাল–সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন
বাঙালি জাতির গৌরব ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। আজকের এই দিনটিতে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের এই বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রের বুকে প্রকাশিত হয়। তাই এই দিনটি আমাদের জন্য পবিত্র এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটি সবাই-ই আমরা কোনো না কোনোভাবে উদযাপন করে থাকি।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেমন স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত, সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি জায়গাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে দিনটি সুন্দরভাবে উদযাপন করা হয়। বাসা – বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চারা হাতে পতাকা উড়িয়ে ঘুরে বেড়ায়।
ছাদে পতাকা টানানো হয়। এমনকি বাচ্চারা ছোট ছোট শহীদ মিনার ও বানায়। রাস্তা ঘাটে পতাকা, ব্যাজ আর নানারকম লাল সবুজ বর্ণের বিভিন্ন জিনিসের ছড়াছড়ি। মেয়েরা লাল সবুজ শাড়ি, হাতে লাল সবুজ চুড়ি পরে। যেনো একটি আনন্দ উৎসবের আমেজ।
বিজয় দিবস ২০২১ এর কর্মসূচি
বিজয় দিবস ২০২১ উপলক্ষে দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন রকম কর্মসূচি হাতে নেয়।বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রতিটি এলাকায় বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রকম ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলগুলোতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধের গান প্রতিযোগিতা, নিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও দেশের প্রতিটি এতিমখানায়, কারাগারে ভালো খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ।
পাকিস্তান আত্মসমর্পণের দলিল
পূর্ব রণাঙ্গনে ভারতীয় ও বাংলাদেশি যৌথ বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের সব সশস্ত্র বাহিনী আত্মসমর্পণে সম্মত হলো।
পাকিস্তানের স্থল, বিমান ও নৌবাহিনীসহ সব আধা-সামরিক ও বেসামরিক সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রে এই আত্মসমর্পণ প্রযোজ্য হবে। এই বাহিনীগুলো যে যেখানে আছে, সেখান থেকে সবচেয়ে নিকটস্থ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কর্তৃত্বাধীন নিয়মিত সেনাদের কাছে অস্ত্রসমর্পণ ও আত্মসমর্পণ করবে।
এই দলিল স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরার নির্দেশের অধীন হবে। নির্দেশ না মানলে তা আত্মসমর্পণের শর্তের লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে এবং যুদ্ধের স্বীকৃত আইন ও রীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আত্মসমর্পণের শর্তাবলির অর্থ অথবা ব্যাখ্যা নিয়ে কোনো সংশয় দেখা দিলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা আত্মসমর্পণকারী সেনাদের জেনেভা কনভেনশনের বিধি অনুযায়ী প্রাপ্য মর্যাদা ও সম্মান দেওয়ার পবিত্র প্রত্যয় ঘোষণা করছেন এবং আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি সামরিক ও আধা-সামরিক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও সুবিধার অঙ্গীকার করছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার অধীন বাহিনীগুলোর মাধ্যমে বিদেশি নাগরিক, সংখ্যালঘু জাতিসত্তা ও জন্মসূত্রে পশ্চিম পাকিস্তানি ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস
১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে পারেন। আবার অনেকে বেশি এটেনশান পাওয়ার জন্য ইনবক্সেও উইশ করে থাকেন। হাজার হাজার বছরের ধৈর্যের ফসল এই বিজয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা। এইদিন বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়। এইদিনের কয়েকটি বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা নিচে দেওয়া হলঃ
১. বিজয়ের হাসির পিছনে রয়েছে লাখ লাখ শহীদের রক্ত, মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি সকলকে।
২. অনেক অনেক ধৈর্যের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় দিবস উপলক্ষে সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
৩. চারিদিক আজ যেনো লাল সবুজের সমারোহ। সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
৪. বিজয় এলো বাংলাদেশের পাখির গানে গানে, সেই কথাটি একটি পাখি বললো কানে কানে।
৫. ওরা আসবে চুপি চুপি, যা এই দেশটা কে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রান সব ক’টা জানালা খুলে দাও না! আমি গাইবো গাইবো বিজয়ের ই গান। বিজয় শুভেচ্ছা শুভেচ্ছা।
বিজয় দিবসের মাসে সব বন্ধু চায় তার নিজের ফেজবুক ওয়ালে একটা স্ট্যাটাস দিতে কিন্তু কি ক্যাপসন দিবে কি খুজে পায় না তাই সে সকল বন্ধুর জন্য আরো কিছু ক্যাপসন সামনে তুলে ধরা হলোঃ
১. ১৬ ডিসেম্বর তুমি নব্য বাংলাদেশের মহা বিজয়ের মহা উল্লাস। তুমি বাংলাদেশ, তুমি বিধবা মায়ের বন্দী দশা থেকে মুক্তির নিঃশ্বাস।
২. এই দেশেতেই জন্ম আমার এই দেশেতেই শেষ। তুমিই আমার ভালোবাসা আর স্বপ্ন দেখার দেশ।
৩. আমি স্বপ্ন দেখি তোমার মাঝে তোমার মাঝেই হয় আমার স্বপ্নের শেষ। তুমিই আমার চির শান্তির দেশ বাংলাদেশ।
৪. ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রান। সব কটা জানালা খুলে দাও না। আমি গাইবো গাইবো বিজয়ের গান।
৫. এই যে আমার দেশ এই যে আমার বাড়ি, এই বাংলাদেশের লাইগা আমি জীবন দিতে পারি।
৬. আমার মায়ের সম্ভ্রম হারানো ফলাফল এই দেশ। ভাই বুকের রক্ত ঝরানো এই দেশের বিজয়।
৭. আমরা রক্তাক্ত দেশের শোকাহত মায়ের চোখের জল,আমরা এই দেশের শক্তি, আমরাই বল।
৮. আমাদের বিজয়ের চেতনা ধারন করার জন্য ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিন।
৯. আমার চেতনার মণি আমার দেশ। এই দেশেতেই জন্মেছি আমি চাই এই দেশেতেই হোক শেষ।
১০. লোক থেকে লোকান্তরে আমি স্তব্ধ হয়ে শুনি, আহত মায়ের কন্ঠে জরানো বিজয়ের ইতিহাস।
১১. আমি জন্মেছি বাংলায়, আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলার আলপথ দিয়ে হাজার বছর চলি।
১২. হে বিজয় দিবস,বাঙালির সুদীর্ঘকালের শোষন বঞ্চনার ইতি হলো আজ তোমার হাত ধরে।
১৩. মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাচাতে আজকে লড়ি,মোরা একটি ফুলকে বাচাবো বলে যুদ্ধ করি।
১৪. ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ইতি হলো আজ বিজয়ের মাধ্যমে।
১৫.আগামী প্রজন্মকে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দেশ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হলে বিজয়ের চেতনা ধারন করতে হবে।
COMMENTS