এক অজানা উনুভূতি বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজার এর উদ্দ্যেশে রওনা দিলাম হাটছি, ঠটাৎ সামনে এক রমণীর দেখা। আমার দিকেই আসছে। হয় তো আমাকে কিছু বলবে, আ...
এক অজানা উনুভূতি
বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজার এর উদ্দ্যেশে রওনা দিলাম হাটছি, ঠটাৎ সামনে এক রমণীর দেখা। আমার দিকেই আসছে। হয় তো আমাকে কিছু বলবে, আমি ভূত দেখার মতো চমকে উঠলাম। নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
এই দেখি মিস ব্যাকটিরিয়া!
এ আমি কী দেখলাম!
শুরুতেই চিন্তে পাচ্ছিলাম না,চোল গুলো ছিলো কালো, অর তো ঠুটের নিচে তিল দাক, সুনালী বিদেশিদের মতো চোল, চোল গুলো খাটোখাটো মায়াবী চেহেরা। ভালোই লাগে বটে।
আগের তুলনাই অনেক টা ফর্সা কিন্তু চিকনা ।
কিন্তু সে এখানে কেন?
অহ হে
মিস ব্যাকটিরিয়া ছিল আমার সহপাঠী। আমরা একসাথে কলেজে পড়েছি। তুখোড় মেধাবী ছাত্রী ছিল সেই সাথে সুন্দরীরও বটে। একটু সুন্দরের প্রশংসা করলে সেদিনি হয়ে যেত ট্রিট। কিন্তু তাকে সরাসরি বলবে রেগে যেত কোন ভাবে বুজাতেই পারলেই হতো তাকে আজকে অনেক সুন্দর লাগছে ।
অনেক দিন হয়ে যাচ্ছে তার সাথে কোন রুপ যোগাযোগ নাই বললেই চলে। বাবা তাকে শহরে পাঠিয়ে দেন। শহরের এক মেয়েমেসে থাকেন। যোগাযোগ করার কোন ব্যবস্থা ছিলো না হয় তো ছিলো নাম্বার>>? ইত্যাদি কারনে হয়নী ।
ফলে ব্যাকটিরিয়া সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল।
ও হে আমাকে দেখে যা বলছিলো
তুমি এত মুটা হয়ছো কেমনে ?
এমন টা শুনে কি আর বলবো মুচকি হেসে দিয়ে বললাম তুমি মিয়া ভাত খাও নাকি ?
হ্যাঁ খাই তো আমার সাস্থ্য মনে হয় পরিবর্তন হবে না ।
আমি ও মজা করে বললাম উপায় একটা আছে মুটা হওয়ার।
খুব আগ্রহ নিয়ে বলছে কি বলতো ?
আমি বললাম যারা মুটা মানুষ তাদের সাথে ঘষা দিবা একাই মোটা হয়ে যাবা
দূর শয়তান তুমি আর মানুষ হইলানা।
মুখে কিছু আটকায় না।
আমি এই কথা বলে কেমন যেন নিজেকে উপমান বোধ করালাম তাও আবার নিজে নিজে কিছুতেই বুজতে দিলাম না
সব শেষে বললো
বিয়ে করছো করে ?
আমি, যবে থেকে তুমি রাজি হচ্ছো
কি!!!
তুমার মাথা ঠিক আছে নাকি ?
তুমি কি পাগন নাকি ?
কি উল্টপাল্টা বলছো !!
কেন ?
আমি আবার কি করলাম তেমন কিছু বলি নাই তো
আরে পাগল তুমি কি জানো না আমার বিয়ে হয়েছে ?
হ্যাঁ জানি তো
তে এই সব কি বলছো ?
বিয়ে করলে কি বিয়ে করা যায় না নাকি?
জাবে কিন্তু স্বামী মারা গেলে আর না হয় ডিবোজ হলে। আর আমার স্বামী তো মারা যায নাই, আর আমি তোমায় বিয়ে করবো কেন ? তুমি আমার বন্ধু তা কি তুমি ভুলে গেছো নাকি ?
দূর আমি মানি না
কি মানো না
তুমায় সহপাঠী মানি না ।
তো কি মানো ?
ঘুড়ার ডিম।
কি !
জি
আচ্ছা তুমি কি পাগল। নাকি ভালো মানুষ নাকি পাগল সাজার ভাং দরো কিছুই তো বুজতাছি না !
আপনার বুজার দরকার নাই
বুজেই বা কি হবে ?
হতে তো পারে !
কি হতে পারে? তো তুমি আমাকে নিয়ে পালাতে পারবা !
পালাবো কেন ?
নাহ এমনেই বললাম তোমার শাহস পরিক্ষা করলাম দেখি তুমি কি বলো
কেমন দেখলা ভিতুর ডিম
অত:পর অনেক কথায় হলো তা আর নাই বলি।
মানুষে শুনলে আমার আবার বিয়ে হবে না।
সবশেষে ব্যাকটিরিয়া একটা কথা বালি রাখবা
কি কথা ?
রাখার মতো হলে তো অবশ্যই রাখবো এটা বলতে হয় নাকি
কি কথা ?
অনেক সময় চুপ করে থেকে, না কিছু না তুমার নাম্বার টা পেতে পারি?
হা হা সো সুইট
আমি আর নিজে কে কন্টল রাখতে পারলাম না
বললাম না পারো না।
নাম্বার দিয়ে কি করবা?
থাক লাগবে না তো ভালো থেকো যাই তাহলে
আচ্ছা যাও
তো এত কথা বললা কিছু খাওয়াবেনা
বলে হ্যাঁ বলো কি খাবা?
তুমার মাথা
দূর মজা করো না তো
যাই তাহলে
ওকে যাও
বায়
ওকে বায়
আমি মনে মনে ভাবতাছি নাম্বার টা কি দিবো ?
না।
দিবো না
চলে যাচ্ছে তো
ডাক দিবো কি ?
অত:পর ডাক দিলাম
হ্যালো শোনছো
পিছন দেখে তাকিয়ে হম কি আবার কি হলো?
না কিছু না নাম্বার আগের টাই আছে লাষ্টে ৬১
ডাইড়ির পেছনে লেখা আছে পারলে খুজে নিও।
হম জানি আমার কাছে নাম্বার আছে , আমার ফোনেও আছে রাতে কল দিতাম তুমায়।
কি !!
আমি থ হয়ে রইলাম দূর নাম্বার এর কথা কেন জিগাইলাম।
অত:পর
নাম্বার আছে তো চাইলে কেন ?
এমনেই মজা করে।
দূর তর মজার গুষ্টি কিলাই জা জা
মনে মনে ভাব লাম মাইয়া তো সুবিদার না
কথা বলা যাবে না
কল দিলেউ ধরমো না।
দুই দিন চলে যাচ্ছে কল দেয় না কোন সারা শব্দ নাই
আমিও মাথা থেকে জেরে ফেলে দিছি ব্যপার টা।
ফোনে কথা
দেখা হওয়ার তিন দিন পর বিকাল বেলা ছোট করে একটা মিস কল আসে
আমি ও তেমন কোন গুরোত্ব দেই নাই জার প্রয়োজন সে ফোন দিবেই।
আমার তো ব্যকটিরিয়ার কথা মনে ছিলো না মনে থাকলে হয়তো কল দিতাম হাজার হলেও শহপাঠী।
ওহ হে আমি তো প্রতিঙ্গা করছিলাম কথা বলবো না মাইয়াডা সুবিদার না ।
পরদিন সকাল বেলা একটা এসএমএস করছে
আমি তাকেই চাই ।
যার জন্য সারা দুনিয়া পাগল থাকলেও সে শুধু আমাকেই চাইবে।
আমার তো তখন আর বুজার বাকি ছিলো না এত তো মিস ব্যাকটিরিয়া ।
সরাসরি কল দিলাম
কোন কথা নাই কি হয়ছে , মাথায় কি গেষ্টেক হয়ছে নাকি?
কি মিয়া কথা না কবা না তো কল দিলা কে
আমি একটু পাঠ নিলাম
আমি সারা রাত গুমাতে পারিনী এই ৪-৫ দিন শুধু তুমার কথায় মাথার মধ্যে ঘূরপাক খাচ্ছে।
সে ও বাংলা সিনামার মতো সেইম ডায়লক দিতেছে হ্যাঁ আমারর একি অবস্থা। আমরা মনে হয় ভুল করছি
আমি বললাম কিসের ভুল কোন ভুল নাই চল পালাইয়া যাই । আমি কথা বলছি আর হাঁসতাছি মনে মনে ভয় ও পাই তাছি যোদি কল রের্কক করে থাকে।
আবার দূর কিসের ভয় আমি তো মাজা করছি।
না আমার জামাই আছে পালাবো কেন ?
আমি তখন মনে মনে লজ্জা পাইলাম দূর শুরোতেই পালানোর ডায়লক দেওয়া ঠিক হয় নাই।
আমি কি নায়ক জসিম নাকি সালমান খাঁন আমার সাথে পালাবে?
দূর
এত:পর নাইকা বলে চলো পালাই
আমি তো থ হয়ে রইলাম এ কি বলে মাইয়া মজা করে ভলতে যাইয়া ফাঁইসা গেলাম নাকি। মনে মনে ভাবতাছি দেখি কি হয়। এই বলে ফোন কেটে দিলাম।
কিছুক্ষান পড় আবার ফোন
কি হলো?
ফোন কাটলা কেন?
কি হয়ছে তুমার ?
টাকা নাই তাই কেটে গেছে
ও
তো তুমার সিন্ধান্ত কি ?
পরে জানাবো
ওকে
দুই দিন পর সন্ধার দিকে তাদের বাড়ি গেলাম সেখানে তো ঘটলো কি মজার কান্ড। আমি কিছুতেই এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। সারা জিবন যেন ভুলতেও পারবো না। সুধু স্মৃতি হয়ে থাকবে।
আমার তো এইখানে কোন দুষ নাই।
আমি ভাবছি কি করবো এখন ... ?
চিন্তায় পড়ে গেলাম
এ মাসুম এই সব কি লিখছিস ? মাথা কি তোর সত্তি খারাপ হয়ছে নাকি উল্টপাল্টা মনগড়া গল্প লিখছিস। মিথ্যা আর কতো বানাবি ? সময় তো অনেক নষ্ট করছিস তোর এলোমেলো লেখা পড়ে মেজাস এমন খারাপ হয়ছে মনে হয় তকে ......
সামনে পাইলে তোকে নিশ্চিত থাপ্পায়া নিতাম। আর তোর মাথায় কি গবর তর লেখা তো ছোট রাও পড়বে
এবং দেখবে তকে দেখে কি শিখবে ?
তকে দেখে তো যুবসমাজ নষ্ট হবে রে। তোর এই খেয়াল কি আছে ? নিজে তো মন গড়া গল্প লিখে টাকা ইনকাম কারছিস। মানুষ তো গল্পে কি শিখবে ? মানুষের কে তো ফালতু গল্প জোর করে পড়াইয়া সময় নষ্ট করছিস মিথ্যা বলার তো একটা লিমিট থাকে তুই তো এই লিমিট অতিক্রম করে ফেলছিস।
বিবাহিত মেয়ে সম্পর্কে তোর কতো টোকো ধারোনা আছে। সামান্য ইচ্ছাব্লগ এর এডমিন হইছোস আর দুই কলম লেখাপড়া করেছিস নিজে কে পন্ডিত মনে করিস।
ঔ রকম ব্লগ দিনে ১০০ খুলা যাবে
বিয়ে মানে কি তুই জানিস ?
বিয়ে নিয়ে নানা মন্তব্য করে যাচ্ছিস !
শোন তাহলে
বিয়ে হচ্ছে দুইজনের মধ্যে একটি বন্ধন, যা সারা জীবনের জন্য থাকবে। ভালোবেসে বিয়ে হোক আর পরিবারিক ভাবেই বিয়েই হোক সব কিছুতেই বোঝাপড়াটাই প্রধান বিষয়। দুজন যদি দুজনকে বোজে নিতে পারে তাহলে কারো বাবার মোরাদ নাই যে দুই জন কে আলাদা করবে?
সংসারে সমস্যা আসলেও তা সমাধান করা যায় তর মতো কুলাঙ্গার দের জন্য যুবসমাজ নষ্ট হচ্ছে। বিয়ে মানে যে বড় দোয়া দুধে তুলশি তা কিন্তু নয়। দুই জনের মধ্যে সমস্যা তো আসবেই, কারণ সমস্যা ছাড়া মানুষ থাকতে পারে না। তবে, বিয়েতে বউ জামাই দের সাথে একটু আর একটু ঝামেলা থাকেই।
বিষেশ করে সমবয়সীদের মাঝে বিয়ের ব্যাপারটা ইদানিং খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে পড়াশুনা বা চাকরি করতে গিয়ে কাছাকাছি আসা, মনের মিল খুঁজে পাওয়া এবং শেষে ঘর বাঁধা। সমবয়সী স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর মতো সবকিছু শেয়ার করা যায়।
নিজের ভালোলাগার বিষয়গুলো তার সঙ্গে মিলে যায় সহজেই। বিষয়গুলো আবার সব সময় একই রকম থাকে না। সমবয়সী দু'জনের ভিতর একে অপরকে পারিবারিকভাবে সম্মান দেয়ার ব্যাপারটা কম থাকে। কারণ দুজনই ভাবে তারা কেউ কম জানেনা। আর যখন সম্মানবোধটা মুখ্য হয়ে উঠে, তখন আসলেই ভাল থাকাটা কষ্টকর।
সেই সময় তোদের মতো সহপাঠী খোজে তুই তো বোজাতেই পারিস । কিছু না বুজিয়ে এই সব কি মাসুম?
ভালো হও মাসু এখনো সময় আছে ?
তুই তো জানিস, লেখাপড়া তো আর কচু খেয়ে করিশ নাই। পুরুষের তুলনায় মেয়েরা শারিরীক ও মানসিকভাবে পরিপক্ক হয়ে দ্রুত হয়ে যায় পুরষের আগে মেয়েরা অনেক সময় তাদের ইচ্ছার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
সময়ের ব্যবদানে আবার ঠিক হয়ে যাবে। তার মানে এই না যে তাকে ছেড়ে দিবে। তবে তারা নিজেরা যদি নিজেদের মধ্যে সমঝোতা তৈরি করে, নিজেরা নিজেদের সাথে খাপখাইয়ে নিতে পারে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। বিয়েটা জীবনের অনেক গুরুত্বপুর্ণ সিন্ধান্ত তাই সময় নিয়ে চিন্তা করেই সিন্ধান্ত নেয়া উচিৎ। তবে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই 'বন্ধুত্ব' খুব কম সহপাঠী ধরে রাখতে পারে!!
ইচ্ছাব্লগ এটি একটি প্রযুক্তি সম্পর্কিত টিউটরিয়াল এবং গাইড প্রদান করি থাকি। এই খানে যে কেও পড়তে ও লিখতে পাড়ে। এইখানে ফিচার,ছোটগল্প,কবিতা, আপনার জীবনের গল্প ইত্যাদি আপনার পছন্ডের লেখা পাঠাতে সরাসরি যোগাযোগ করেন। আমাদের প্রতিনিধি যাচাই করে আপনার সাথে যোগা করবে।
লেখা জমা নিচ্ছে 👉 : জমা দিন
অথবা ,আপনি সরাসরি ইমেইল করতে পারেন 👉 icchablog@gmail.com
জানুন 👉 : আমাদের সম্পর্কে
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
গল্পটাকে সিরিয়াস মাইন্ডে নিবেন না। সম্পূর্ণ বিনোদনের উদ্দেশ্যে লেখা বিনোদন এর মধ্যেও কিছু শিক্ষণীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগছে
COMMENTS