বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা অনেকই এই সকল ভুলগুলি করে থাকি। যাতে করে ভুলের...
বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা অনেকই এই সকল ভুলগুলি করে থাকি। যাতে করে ভুলের মাসুর হিসেবে আমাদের ফেসবুক একাউন্টে হারাতে হয়।
আজ আমরা এই সকল ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করব। যাতে করে আপনার আইডি ব্লক থেকে বেচে যেতে পারবেন। এর আগে আমরা ব্লক সম্পর্কে যেনে নেই।
ব্লক কি?
ব্লক নানা ধরনের হয়ে থাকে আগে আমরা ব্লক সম্পকে বিভিন্ন তথ্য যেনে নেই ।
{১} ফেসবুক ব্লক,{২} টেম্পোরারি ব্লক {৩} একশন ব্লক ,ইত্যাদি
আজ আমরা ব্লক এর বিভিন্ন ধরণ একটি ছক এর মাধ্যমে আপনাদের নিছে দেখিয়ে দিবো যাতে করে আপনারা সহজেই বুজতে পাড়বেন।
{১} ফেসবুক ব্লক: ফেসবুক ব্লক আমাদের সুপরিচিত একটি শব্দ যা আমরা সচরাচর ব্যাবহার করে থাকি। মুলত কারো ফেসবুক আইডি থেকে কেউ লুকিয়ে বা এড়িয়ে থাকতে এটা ব্যবহার করে। যদিও এখন কাউকে ফেসবুকে ব্লক দিয়ে লাভ নেই কারন সে অন্য আইডি দিয়ে আপনাকে ঠিক ই পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। কাউকে ব্লক দিতে চাইলে তার প্রোফাইলের নিচে / পাশে অপশন আছে সেখান থেকে ব্লক করতে পারেন। ব্লক করলে সে আপনাকে আর ওই আইডি থেকে খুজে পাবেনা বা দিতে পারবেনা আপনাকে কোনো ধরনের মেসেজ তিনি দেখতে পারবে না। |
{২} টেম্পোরারি ব্লক:টেম্পোরারি ব্লক সাধারনত ফেসবুক থেকে দিয়ে থাকে, (এ লক হলে আইডি লগ আউট হয়ে যায়) যেমন ব্রাউজার চেন্জ করে লগিন বা ভিন্ন আইপি/লোকেশন থেকে লগিন করতে গেলে বা অটো লাইক-কমেন্ট বা বুট ইউজ করলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আইডিন্টি কনফার্মেশনের জন্য এ লকটি দিয়ে থাকে। বা যারা অটো লাইক কমেন্ট বা বুট লাইক কমেন্ট ইউজ করেন তারা ও এ সমস্যার সমুক্ষিন হতে পারেন। কখনো কখনো রিপোর্ট পড়লে আইডি এ সমস্যা দেখা দেয়। |
{২} একশন ব্লক:একশন ব্লক হয়তোবা অনেকে চিনেন না বা এক্সপ্লেন করলে ঠিকই বুজে যাবেন। যাই হউক, অনেক সময় আমরা আমাদের আইডিতে ডুকতে গেলে লগ আউট হয়ে যায়। মুলত এটা একধরনের টেম্পোরারি লক সাথে একশন ব্লক। পেজে লাইকের বা গ্রুপের জয়েনের লিমিট ক্রস করলে আবার জোর পুর্বক পেজে বা গ্রুপে জয়েন করতে চাইলে এটা হয়। কখনো কখনো গ্রুপে মেম্বার এড করতে গেলে you are temporary unable to use this feature. এরকম কিছু শো করে। বা বেশি বেশি চ্যাটিং করলে মেসেজ ব্লক খেতে পারেন। আবার আপনি বেশি লাইক করলে লাইক ব্লক আর বেশি কমেন্ট করলে কমেন্ট ব্লক অথবা রিপোর্ট খেয়ে আপনার কোনো পোস্ট রিমুব হলে খেতে পারেন পোস্ট ব্লক। এগুলোই হচ্ছে একশন ব্লক। একশন ব্লক হতে পারে কিছু ঘন্টা বা কয়েকদিন বা সর্বোচ্চ ১মাসের। |
ব্লক থেকে রক্ষা পাবার উপায়
আমরা অনেক সময় বেঙ্গে পুড়ি যে ব্লক খাইছি তো আমার একাউন্ট শেষ । আমার পক্ষে ফেজবুক বাচানো সম্ভব না । এই দারনা ভুল চলুন যেনে নেই ব্লক থেকে রক্ষা পাবার উপায়।
ফেসবুক ব্লক খেলে তেমন করনীয় কিছুই নেই, যত দিনের ব্লক খাবেন ততদিন ওয়েট করেন। এর আগে কিছু করার দরকার নেই আর কিছু করেও লাভ নেই।
আর হ্যা ব্লকটি আনব্লক হবে নিজে নিজেই নির্দিষ্ট সময় পর।
টেম্পোরারি ব্লক প্রবলেম দেখা দিলে ঘাবড়ানোর কিছুই নেই, ফটো ভেরিফিকেশন দিলে তা বাইপাস করুন অথবা পুর্বের ব্যবহৃত আইপি/ডিভাইসে আইডি লগিন করলে তা বাইপাস করা যায়।
কখনো আইডির পাসওয়ার্ড চেন্জ করতে হয় বা এক্টিবিটি লগ ডিলিট করতে হয়।
যে সব কারণে সাধারণত ফেসবুক আইডি ব্লক হয় তার কয়েকটি কারণ এবং উপায়সহ উল্লেখ করা হলো
# ফেসবুক স্ট্যাটাস।১. ফেসবুক স্ট্যাটাসে বা ম্যাসেজে আক্রমাত্মক এমন কিছু লিখবেন না যেটা পড়ে মনে হয় আপনি কাউকে হুমকি দিচ্ছেন এমনটা যদি করেন তাহলে সেই বাক্তি যদি আপনার অ্যাকাউন্টে রিপোর্ট করে তাহলে আপনি কিন্তু ব্লক হতেই পারেন, ফেসবুক এই অভিযোগটিকে খুবই গুরুত্ব সহ বিচার করে। তাই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টি থেকে কাউকে হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। |
২. আমারা যারা নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করি ফেসবুকে ফ্রেন্ড লিস্ট বন্ধু বাড়ানোর জন্য এক দিনে একাধিক জনকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে দিই যা মোটেও ঠিক নয়। এই ভাবে সীমা অতিক্রম করলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক হওয়া থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। |
৩. একই দিনে যদি ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে একই ম্যাসেজ লিখে একাধিক বার ম্যাসেজ করা হয় তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেটে পারে । এ ক্ষেত্রে আপনি সেই সব ম্যাসেজ করার সময় কিছুটা পরিবর্তন করে করে ম্যাসেজ করুন । |
৪. আপনি যদি আপনার নিজের ফেসবুক ওয়ালেও একই পোস্ট একাধিক বার দেন তাহলে সেটাকে ফেসবুক স্প্যাম ভেবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে তাই এটা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। |
৫. আপনি যদি প্রতিদিন একাধিক ফেসবুক ফ্যান পেজে লাইক করেন তাহলে আপনাকে প্রথমে সতর্কবার্তা দেবে। আপনি যদি তাও একি ভাবে কাজটি চালিয়ে যান তাহলে অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে। |
অভিযোগ
অনেকেই অভিযোগ করেন তাদের ফেসবুক আইডি তে লগইন করতে পারেন না, আবার অনেকেই অভিযোগ করেন তাদের ফেসবুক আইডি থেকে অনেক সময় আজেবাজে কিছু ছবি শেয়ার করা হয় কিন্তু তারা সেটা নিজেরা জানেন না।
আপনার ফেসবুক আইডি নিরাপদে রাখতে হলে ফেসবুকের প্রাইভেসি এবং সেটিংস ঠিকমতো রাখার পাশাপাশি এই কাজগুলো কখনো করবেন না
কোন পোস্টের নিচে অনেকেই কমেন্ট করেন কিংবা বিভিন্ন গ্রুপ এ স্টাটাস দেন এভাবে ব্রেকিং নিউজ এইমাত্র ফাস হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর গোপণ সেক্স ভিডিও, ভিডিও টি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
অনেকেই আবার এভাবে দেন, নায়িকা পুর্নিমা যে এত খারাপ নিচের সেক্স ভিডিও টি না দেখলে বুজতে পারতাম না।
আবার অনেক সময় টাকার লোভ দেখিয়ে এভাবে দেওয়া হয়, নিচের সহজ প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়ে বুজে নিন দুইশো টাকা বিকাশ,
অনেকেই আবার অন্যভাবে লিংক গুলো ছাড়েন, এই ধরুন এভাবে আপনি কি আপনার ফেসবুকে অটো ফলোয়ার বাড়াতে চান, অটো লাইক চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করো।
এই সব লিংক গুলোতে থাকে অটো জেনারেটেড পাওয়ার, আপনি ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার ফেসবুক আইডি এবং পাসওয়ার্ড চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে. অনেক সময় হ্যাকাররা এগুলো হ্যাকিং করে অনেকের কাছে টাকা দাবি করে আবার কারও আইডি একটু পপুলার দেখলে সেগুলো পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে ব্যাবহার করে, নিজের আইডি নিরাপদে রাখতে হলে কখনো এইসব লিংকে ক্লিক করে আপনার মুল্যবান সম্পদটি নস্ট করবেন না।
এগুলো হলো হ্যাকিং এর সহজ সিস্টেম এছাড়াও অনেক কঠিন পন্থা প্রয়োগ করতে পারে সেগুলো হলো এমন, যদি আপনার ফেসবুকের মোবাইল নাম্বার কিংবা ইমেল আইডি জানা থাকে তাহলে কিছু অটোরান সফটওয়্যার এর মাধ্যমে বার বার সার্চ করে পাসওয়ার্ড খুজেঁ বের করা হয়।
হ্যাকিং নিয়ে আমরা অন্য একটি লেখুনির মাধ্যমে আপনাদের বুজিয়ে দিতে চেষ্টা করবো ইনশআল্লাহ
তাই যথাসম্ভব ফেসবুকের ইমেল এবং মোবাইল নাম্বার গোপন রাখা সবচাইতে ভালো আপনার ফেজবুক আইডির জন্য।
ধন্যবাদ
COMMENTS