ভুঁড়ি প্রতিটা মানুষের জন্য অসয্য এবং আমাদের সৌন্দর্যহানি করে পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মেদে বা ভুরির বেড়ে যাওয়ার ফলে বাড়তে পারে ডা
ভুঁড়ি প্রতিটা মানুষের জন্য অসয্য এবং আমাদের সৌন্দর্যহানি করে পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মেদে বা ভুরির বেড়ে যাওয়ার ফলে বাড়তে পারে ডায়েবিটিস, প্রেশার, কোমর ও হাঁটুর ব্যথার মতো নানা রকমের সমস্যা। এমনকি ক্লান্তি, অনিদ্রা, শ্বাসকষ্টের মতো বহু শারীরিক সমস্যার সঙ্গেও অতিরিক্ত ওজন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
সারাদিনে আমরা যেসব খাবার খাই, আমাদের শরীরে তা থেকেই শক্তি আসে। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়েই উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলি। এদিকে কাজ করি অফিসে বসে থেকে।
-------------------------------------------------------------------
★ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ।
তাই বাড়তি মেদের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তারা স্বভাবতই বিচার বিবেচনা না করেই অনেক মন ভুলানো কথায় প্রভাবিত হয়ে যেনতেনভাবে ওজন কমাতে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেন। কিন্তু এভাবে এতদ্রুত ওজন কমানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
উল্টো দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে নিজের অজান্তেই নিজের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলেন। এটাও মনে রাখতে হবে কেউ কেউ ডায়েট কন্ট্রোল করতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দেন, এমনকি একেবারেই ছেড়ে দেন, যা সম্পূর্ণ অনুচিত।
মনে রাখতে হবে, ডায়েট কন্ট্রোল করা মানে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করা নয়! এতে প্রয়োজনীয় শক্তির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই ঢালাওভাবে সব খাবার বন্ধ না করে, সময়মতো অল্পকিছু হলেও খেতে হবে। মনে রাখতে হবে, দ্রুত বা তাড়াহুড়া করে ওজন কমানো সম্ভব নয়। নিয়মমাফিক ধৈর্য সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
শুরুতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে এবং এতে শারীরিক কোনো রোগ শনাক্ত হলে, তার চিকিৎসা নিতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি নিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া এবং কায়িক পরিশ্রমের সঙ্গে জড়িত। প্রয়োজনের তুলনায় অধিক ভোজন এবং তার ফলেই দেহের অধিক ওজন।
পেটটা অতিরিক্ত খেয়ে ভর্তি না করাই শ্রেয় বরং পেটের কিছুটা অংশ খালি রাখা ভালো। ধর্মীয় দৃষ্টিতেও এর সমর্থন পাওয়া যায় এবং তা বিজ্ঞান ভিত্তিকও বটে। পেটের একাংশ পূর্ণ হবে খাদ্যে, একাংশ পূর্ণ হবে পানিতে এবং একাংশ থাকবে খালি। নিয়মিত খাবার এবং শারীরিক পরিশ্রম, এ দুইয়ের সামঞ্জস্য থাকা খুবই জরুরি।
পরামর্শ : সুষম খাদ্য গ্রহণ করা ভালো যাতে পরিমাণ মতো কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং কম চর্বি থাকে। * অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা শ্রেয়। ফলমূল, শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়া ভালো, তাতে চর্বি ও শর্করামুক্ত খাবার কম খাওয়া হবে এবং প্রোটিনের চাহিদাও মিটবে। খাদ্য তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যেন থাকে।
১. মেদহীন সুস্থ শরীর পেতে পরিমিত আহার, নিয়মিত ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই।
২. বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত তেল-মশলা, ঘি-মাখন এড়িয়ে চলুন। রেড মিট এড়িয়ে চলুন। ফাস্ট ফুড, ডিপ-ফ্রাই করা খাবার, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংক্স, অ্যালকোহল না খাওয়াই ভালো। বদলে স্ন্যাক্স হিসেবে খান ফল, গ্রিলড্ খাবার, চাট, স্যালাড, আমন্ড, টক দই।
৩. খাওয়ার সময়ে পেটে একটু জায়গা রেখে খান। খাবার ভালো হজম হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরির সমস্যাও হবে না।
৪. ভাত, ময়দা, চিনি কম খান। পারলে ঢেঁকি-ছাঁটা চালের ভাত খান। আটার রুটি খান। চা-কফিতে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন।
৫. সারাদিনের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ রাখুন বেশি। ছোটো মাছ, চিকেনের ব্রেস্ট পিস খান। খাবারের পাতে রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফল।
৬. জিমে যাওয়ার আলাদা সময় না থাকলে বাড়িতেই করুন শরীরচর্চা। রোজ সকালে উঠে আধ ঘণ্টা রাখুন নিজের জন্য। স্কিপিং, বুক ডন, বৈঠক, পুল-আপের মতো খালি হাতে ব্যায়াম করুন। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নির্দ্বিধায় করতে পারেন এই এক্সারসাইজগুলো। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে কোনো শরীরচর্চা বিশেষজ্ঞের থেকে সঠিক ফর্ম অবশ্যই জেনে নেবেন।
৭. মেদ কমাতে না খেয়ে খালি পেটে থাকেন অনেকে। সেটি খুবই ভুল ধারণা। অল্প অল্প করে বারবার খান। নয়তো হিতে বিপরীত হবে।
-------------------------------------------------------------------
★ ডা. ফয়সাল। ★ডা.ফয়সাল তিনি তারঅভিজ্ঞতায় ফাস্টফুড এবং বাইরের খাবার পরিহার করে ঘরের তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া ভালো। তবে ভাত কম খাওয়াই উচিত। ঘি, মাখন, অতিরিক্ত চিনি মিশ্রিত চা, কফি পরিহার করতে হবে। * মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। রাস্তায় বেরুলে অলিতে-গলিতে রকমারি মিষ্টির দোকানে ভর্তি। বাড়িতে মেহমান আপ্যায়নের অন্যতম উপাদান মিষ্টি।
যে কোনো উৎসবে যেমন— সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে, সন্তানের সুন্নতে খতনা করালে, পদোন্নতি পেলে, পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে, নতুন চাকরি পেলে, বিবাহ উৎসবে মিষ্টির ছড়াছড়ি। তাই নিজের জিহ্বাকে সংযত রাখতে সচেষ্ট হতেই হবে। বাইরের তৈরি জুস, কোল্ড, হেলথ, এনার্জি বা সফট ড্রিংকস পরিহার করা উচিত। খাওয়ার আগে বেশি পানি খেলে খাওয়ার পরিমাণটা কম লাগবে।
ভুড়ি থেকে মুক্ত থাকার উপায় দেখতে খুব সুন্দর, লম্বা। কিন্তু পেটে বিশাল বড় ভুঁড়ি। শুধু এই ভুড়ির
জন্য আর স্মার্ট দেখা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশের মানুষদের খাদ্যাভ্যাসের কারনে এ সমস্যা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই দেখা যায়। পেটের মেদ আর শরীরের অন্য অংশের মেদকে একজিনিস ভাবলে ভুল করবেন। পেটের মেদ যেহেতু লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে থাকে, সেহেতু এটি আপনার জন্য অনেক বড় বিপদ এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। শরীরে এ অংশের মেদের কারণে ডায়োবেটিক থেকে শুরু করে হার্টের মারাত্মক সমস্যা পযন্ত হতে পারে। দেখতেতো খুবই বিশ্রী লাগেই। তাহলে কি করবেন? শুধু ব্যায়াম করলেই পেটের মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়না। খাবার দাবারেও সতর্ক থাকতে হবে। খাবার সতর্কতা এবং শরীরের বিশেষ কয়েকটি ব্যায়াম আপনার পেটের
চর্বিকে কমিয়ে দিবে এবং ভবিষ্যতে এধরনের
চর্বি জমা থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে। খাবারে সতর্কতা
১. প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত তৈরি করে খাবেন।
২. শরবতটি খাওয়ার পর দুই বা তিন কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ভাল ফল পাবেন। তাহলে আপনার শরীরে ওজন কমানোর প্রক্রিয়িাটি দ্বিগুন গতিতে হবে। একই সঙ্গে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন হবে মসৃণ গতিতে।
৩. সকালের নাশতাতে অন্য খাবারের কম খেয়ে একবাটি করে ফল খেলে পেটের চর্বি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৪. পানি শরিরের পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ক্ষতিকর সব কিছু শরীর থেকে বের করে দেয়। সেজন্য সকল ডাক্তারদের পরামর্শ বেশি বেশি পানি খেতে হবে।
৫. ভাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আটার
তৈরি খাবার বেশি খেলে অনেক উপকার পাবেন।
৬. খাবার রান্না করার সময় দারুচিনি, আদা, কাঁচা মরিচ বেশি ব্যবহার করুন।এগুলো শরীরের
রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
৭. চিনি জাতীয় খাবার শরীরে বিশেষ করে পেট ও
উরুতে চর্বি জমতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সুতরাং চর্বি থেকে বাচতে হলে এ জাতীয় খাবারের লোভ সংবরণ করতে হবে।
৮. প্রচুর পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি, আমড়া, চালতা খেতে হবে।
৯. চর্বি জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড এবং সফট ড্রিংকস (কোকাকোলা, পেপসি ইত্যাদি খাওয়ার অব্বাস করতে হবে।
-------------------------------------------------------------------
★ ডা. জাহাঙ্গীর। ★ ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের পরামর্শ অনুযায়ী পেটের মেদ ও ভুরি কমাতে সাহায্যে করে। যা তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন পেটের কাছে গোল হয়ে জমছে মেদ। এটি অস্বস্তিকর তো বটেই, দেখতেও বদখত। আপনার শারীরিক সৌন্দর্যের সংজ্ঞাই বদলে দেবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত মেদ। পেটের মেদ দূর করতে নানারকম কসরত করেও মেলে না ফল। মজার ব্যাপার হলো, মাত্র পাঁচ মিনিটেই পেটের মেদ কমাতে পারবেন। বলা চলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পেটের মেদ কমানো সম্ভব। তবে সেটা কখন, কিভাবে করবেন আসুন জেনে নেই-
হিট এক্সেসাইজ: ব্যায়ামটি করতে হয় সকাল বেলা। সবচেয়ে ভালো সময় সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে। যখন ন্যাচারালই শরীরে স্টোরেজটা বেশি থাকে। ফিট এক্সেসাইজ করার সময় শরীরে স্টোরেজ রিলিজ হয়। আর এই স্টোরেজ যে শরীরের জন্য খারাপ তা নয়, এটা শরীরের জন্য ভালো। এই স্টোরেজ কী পরিমাণ তু ন্যাচারালই সকালে শরীরে স্টোরেজ বেশি থাকে তাই ব্যায়ামটা সকালে করলে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।
হিট এক্সেসাইজ করলে অনেকগুলো সুবিধা আছে। একটি হলো- যেটি মাসেলকে পির্জাভ করে কিন্তু ফ্যাট বান করে।
শরীরে খুবই দরকারি গ্রোর্থ হরমোন। যেটা শিশুদের প্রচুর থাকে, যার কারণে শিশুরা ক্লান্ত হয় না। তারা প্রচুর দুষ্টুমি করে কিন্তু ক্লান্ত হয় না। আর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এটা আস্তে আস্তে কমে যায়। এই কারণে এটাকে যদি আমরা বুস্টআপ করি তাহলে এটা আমাদের চর্বি গলাতে সহায়তা করে। তবে মাসেলটাকে পির্জাভ করে।
আপনার যে সকল বন্ধু এ সমস্যায় জরিত তাদের সাথে সিয়ার করে তাদের সাহায্য করতে পারেন। আর কোন ডাক্তার এর পরামর্স আপনার ভালো লাগছে অবশ্যই কমেন্ড এ জানাবেন।
"""""""""”""""""""ধন্যবাদ """""""""""""""""""
COMMENTS