শীতকালে আমরা তুলনামূলকভাবে কম কাজ করি থাকি কিন্তু খাদ্য গ্রহণে ঠিক মতো হই না। এক্ষেত্রে আমাদের শরীরে অনেক সময় ভারী হয়ে যায়। দেখা যাচ্ছে সে জন্য শীতে ব
শীতকালে আমরা তুলনামূলকভাবে কম কাজ করি থাকি কিন্তু খাদ্য গ্রহণে ঠিক মতো হই না। এক্ষেত্রে আমাদের শরীরে অনেক সময় ভারী হয়ে যায়। দেখা যাচ্ছে সে জন্য শীতে ব্যায়াম করা অন্য ঋতুর চেয়ে বেশি গুরুত্ব । তা ছাড়া ব্যায়াম করলে এমনিতেই শরীরের জড়তা কেটে যায়, শরিলের গতি অনেক টাই বেড়ে যায়।
কাজে গতি আসে। দেখা যাচ্ছে শীতের সময় সাধারণত রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। এইক্ষেত্রে অনেকেই এই সময় খুব সহজে ঠাণ্ডা, সর্দি-জ্বর এছাড়া নানা রোগ ব্যাধি আক্রান্ত হতে পারে। শীতে ব্যায়াম করলে এসব রোগব্যাধি সহজেই আপনাকে কাবু করতে পারে না। এই ক্ষেত্রে শীতটাকে স্বাস্থ্যকরভাবে উপভোগ করতে চাইলে ব্যায়াম করা অত্তন্ত জরুরি।
ডাক্তারের পড়ামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করলে শরীরের রক্তে শ্বেতকণিকা বা হোয়াইট ব্লাড সেল বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে শীতকালে সকালের দিকে ব্যায়াম করা ভালো না । বিকেলের দিকটা ব্যায়ামের জন্য উপযোক্ত সময় । যাঁদের হৃদরোগ আছে, হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা আছে, মেরুদণ্ড বা কোমরে ব্যথা রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই বিকেলের দিকে ব্যায়াম করতে হবে।
সাধারণত প্রতিদিন একজন মানুষকে গড়ে ২ ঘন্টা ব্যায়াম করতে হয়। এইক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে শরিলের জীবকোষ গুলো সচল থাকে।
আবার যাধের চাইবে দিস আছে তাধের ক্ষেত্রে একটু সময় বাড়িয়ে দিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে শীতকালে খাবারের তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনতে হয়। তাই এ সময় শরীরে তাপ উৎপাদন হয় এমন ডায়েট করতে হবে। যেমন : মধুর সাথে ডার্ক চকোলেট মিশিয়ে খেলে রক্তনালি প্রসারিত হয়। রক্ত চলাচল ভালোভাবে হয়। এ সময় এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে যাতে শরীরে তাপ উৎপাদন হবে কিন্তু চর্বি জমা হবে না। ব্যায়ামের সময় ঢিলেঢালা পোশাক পড়তে হবে। এ সময় অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি শীত পোশাক পরে ব্যায়াম শুরু করতে হয়।
শীতে ঘরে বসে করতে পারবেন এমন কিছু ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নেই।
১.পায়ের ব্যায়াম।
★ পায়ের ব্যায়ামের জন্য প্রথমে সাধারণ ওঠাবসা। সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে যেন পায়ের হিল বা গোড়ালি ওপরে উঠে না যায়। পায়ে আঙুল যেন বেঁকে না যায়। এক সেটে কুড়িবার, এভাবে পাঁচ সেট করতে হবে ব্যায়ামের সময়।
২.সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
৩. বুকডন করা।
★ ট্র্যাডিশনাল বুকডন করতে হবে। প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে বুকের দুই পাশের হাত মাটিতে রাখতে হবে। হাতে চাপ দিয়ে শরীর ওঠাতে হবে। খেয়াল করতে হবে যখন নামবে তখন বুক যেন মাটি স্পর্শ না করে। এই ব্যায়ামটিও তিন সেট করে করতে হবে।
৪ শুয়ে থাকা।
★ ব্যায়াম এর উপকারীতা।
১. শীর্ষাসনের সময় প্রচুর রক্ত মস্তিষ্কের দিকে ধাবিত হয়। মস্তিষ্ক হচ্ছে আমাদের মহা শক্তিশালী জৈব কম্পিউটার । এখানে রয়েছে বিশেষ গ্রন্থি, যা হরমোন নিঃসরণ ব্যবস্তার নিয়ন্ত্রক।
২. দৃষ্টি সৃতি শ্রবণ স্পর্শ অনুভূতির কেন্দ্রস্তল হলো মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কে অবস্তিত এ ন্সায়ু কেন্দ্রগুলোকে নিয়মিত শীর্ষাসনের মাধ্যমে সুস্ত রাখা যায়।
৩. নিয়মিত শীর্ষাসন করলে মাথা ব্যাথা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
৪. মুখমন্ডলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় বলে চোখ কান নাক দাঁতে সহজে কোনো রোগ হতে পারে না।
৫. থাইরয়েড গ্রন্থিতে রক্ত চলাচল প্রচুর পরিমাণে হয় বলে থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে দেহের সমস্ত গ্রন্থি ও ন্সায়ু সুস্ত ও সক্রিয় থাকে।
৬. টনসিলের বিশেষ উপকার হয়।
৭. মস্তিষ্কে অবস্তিত মাস্টার গ্ল্যান্ড নামে পরিচিত পিটুইটারি গ্রন্থি এবং পিনিয়াল গ্রন্থি সুস্ত ও সক্রিয় রাখে। এর ফলে আমাদের মনের শক্তি, সৃতি শক্তি, ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৮. মেয়েদের জরায়ু সরে গেলে নিয়মিত এ আসনটি করলে তা ঠিক জায়গায় ফিরে আসে।
৯. এছাড়া লিউকোরিয়া অর্শ একশিরা হাঁপানি মাথাধরা আলস্য ইত্যাদি দূর হয়।
COMMENTS