আমরা অনেকেই কম্পিউটারে বেশি সময় ব্যয় করছি; তাদের সবারই সিভিএস (কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম) নামে পরিচিত সমস্যা থাকতে পারে। সিভিএস সকল কম্প...
আমরা অনেকেই কম্পিউটারে বেশি সময় ব্যয় করছি; তাদের সবারই সিভিএস (কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম) নামে পরিচিত সমস্যা থাকতে পারে। সিভিএস সকল কম্পিউটার কর্মীদের 64% থেকে 90% শরীর এ প্রভাবিত করতে পারে, এটি স্থিতিশীল চোখের ক্ষতি তৈরি করে না, কিন্তু এটি একটি ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই আজ আমরা কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য সেরা ১০টি স্বাস্থ্যকর টিপস নিয়ে কথা বলব।
মানুষ তাদের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করে এবং তারা কম্পিউটারে প্রচুর সময় খরচ করে। দিনের কাজ এর জন্য বসে থাকা আপনার শরীরকে অবশ করতে পারে এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে ।
দৈনিক কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য শীর্ষ 10 স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কে জানতে আপনি নিচের তথ্য পড়তে পারেন।
১. প্রতিদিন ব্যায়াম করুন:
কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আপনার শরীরের অংশ প্রতিদিন ১০ মিনিটের জন্য হাত, পা, পিঠ এবং ঘাড় নড়াচড়া করতে হবে। আপনি উঠে অফিস টাইমে শর্ট ওয়াক ব্রেক নিতে পারেন। কম্পিউটার ব্যবহার কারিদের প্রতিদিন একবার হলেও অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে।
২.কাজের সময় বিরতি নিন:
সারাদিন কম্পিউটার ব্যবহার এর ফলে শরীর অবশ হয়ে যায়। এজন্য প্রতি ১ ঘন্টায় কমপক্ষে ১০ মিনিট বিরতি নিতে হবে। কাজের সময় বিরতি নেওয়ার ফলে কাজের মনোযোগ ও বৃদ্ধি পাবে।
৩. কম্পিউটার চশমা ব্যবহার করুন:
কম্পিউটার চশমা কম্পিউটারের কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। এই চশমা আপনার চোখকে কম্পিউটার স্ক্রীনের লাইট থেকে রক্ষা করবে । কম্পিউটার চশমা কম্পিউটার স্ক্রিন এর উজ্জ্বলতা কমাতে সাহায্য করে।
৪. সঠিক আলো ব্যবহার করুন:
কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে অবশ্যই আলো বজায় রাখতে হবে। কম্পিউটার ব্যবহার করার স্থানে উচ্চমাত্রার আলো পরিহার করতে হবে। কম্পিউটার কাজের সময় অন্ধকার কেউ পরিহার করুন। প্রয়োজনে ডিম লাইট ব্যবহার করুন।
৫. কম্পিউটার এর স্ক্রিন রেজুলেশন বজায় রাখুন।
কম্পিউটার এর কাজের জন্য উচ্চ রেজুলেশন এর মনিটর ব্যবহার করুন। উচ্ছ রেজুলেশনের মনিটর ব্যবহার করলে ৷ মনিটরে দৃশ্যমান সবকিছু বাস্তবের মতো হয়। এতে চোখের উপর ক্ষতিকর কোন প্রভাব ফেলে না এবং এতে চোখে আলো কম পড়ে অন্যান্য মনিটরের তুলনায়।
৬. আরামদায়ক অবস্থানে কীবোর্ড রাখুন:
কীবোর্ড, পয়েন্টিং ডিভাইস বা ওয়ার্কিং সারফেস উঁচু বা খুব উচ্চতায় রাখার কারনে কব্জি, হাত এবং কাঁধের ব্যথা হতে পারে। কিবোর্ড সঠিক অবস্থানে রাখুন যেন আরামদায়ক হয়। বেশি উচ্চতা আর নিচু যেম না হয়।
৭. মনিটর এর স্ক্রিন পরিষ্কার রাখুন
আপনার মনিটরের যদি ধুলাবালু জমে থাকে তবে তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। মনিটরের ধুলাবালুর থাকার কারণে উজ্জলতা কম হবে ও মনিটরে সঠিক রেজুলেশন পাবেন না এতে চোখের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
৮. চোখ ম্যাসেজ করুন:
বেশিক্ষণ কম্পিউটার এ কাজের সময় চোখের চারপাশে ব্যথা অনুভব হতে পারে। তাই নিদিষ্ট সময় মত চোখ এর চার পাশে ম্যাসেস করুন। হালকা ভাবে চোখের চারপাশে ঘুসতে পারেন। যেন আবার চোখে কোন আঘাত না লাগে সে দিকে খেয়াল রাখবেন। এতে আপনি আরামদায়ক ফিল করবেন।
৯. ভালো জায়গায় মনিটর রাখুন:
কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে অবশ্যই সঠিক দূরন্তে এবং কোণে মনিটর রাখতে হবে। মনিটর এমন জায়গায় রাখুন যেখানে আপনি সহজে দেখতে পাবেন।এবং স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আপনি সচ্ছন্দ বোধ করতে করতে পারবেন।
১০. চোখ পরীক্ষা করুন:
আপনি যদি চোখের কোন সমস্যা অনুভব করেন তো অতি শীঘ্রই চোখের পরীক্ষা করে ফেলুন। বেশি মাত্রায় কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই চোখের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই ডাক্তারের কাছে যান চোখের পরীক্ষা করুন প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ।
COMMENTS