সন্তোষপুর রাবার বাগানটি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় নাওগাঁও ইউনিয়নের সন্তোষপুরে অবস্থিত।
সসসন্তোষপুরে রাবার বাগানটি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় নাওগাঁও ইউনিয়নের সন্তোষপুরে অবস্থিত। সন্তোষপুর রাবার বাগান ময়মনসিংহ জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। যা ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ও নাওগাওন ইউনিয়নের প্রায় ৮০০. ৬৩ দশমিক ১৪ একর জায়গা জুড়ে অবস্থান এই প্রাকৃতিক বন যা মধুপুর বনাঞ্চল বা সন্তোষপুর নামে প্ররিচিত লাভ করে।
রসুলপুর বনবিভাগ টি তিনটি ফরেস্ট ক্যম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ক্যম সম্পর্কে যেনে নেওয়া যাক, i. খালিদা,ii.কমলাপুর,iii.রাঙ্গামাটিয়া। জামালপুরে বাঁশচড়া, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, সন্তোষপুর, এনায়েতপুর, মুক্তাগাছা,রসূলপুর সদর নিয়ে রসুলপুর বন। এক সময় এই বনে বিভিন্ন হিংস্র প্রাণী ভাগ সিংহ হরিণ ইত্যাদি বসবাস করত কিন্তু এখন এগুলো বিলুপ্ত হওয়ার পথে নাই বল্লেই চলে। এগুলো এখন দেখা যায় না বর্তমানে টিকে আছে পাঁচশত এর অধিক বানর। সেখানে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র যা সন্তোষপুর নামে পরিচিতি লাভ করে। সন্তোষপুর এর পর্যটক কেন্দ্র প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পর্যটকরা এসে থাকে। বিশেষ করে ঈদের সময়,দুর্গাপূজার, বড়দিনে, পহেলা বৈশাখ হাজারো মানুষের জমায়েত হয়ে থাকে।
|
চিত্র: টং দোকান। |
সবচেয়ে দুঃখ জনক বেপার হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রের বড় কোন দোকান নেই। দুপাশে ১টি ছোট ছোট ২টি টং দোকান। দোকানগুলোর মধ্যে দর্শনার্থীদের ব্যাপকহারে সাড়া প্রদান করে বিশেষ করে বানরের খাবার সে দোকান থেকে কিনে থাকে এবং বিশেষ কোনো ভারী খাবার দোকানে পাওয়া যায় না।
এতে হতাস হওয়ার কিছু নাই বন থেকে ৪ কিলোমিটার দূরের রয়েছে গারোবাজার সেখানে সব ধরনের খাবার আছে।
সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে, বানরগুলো সামাজিক বানার নামে পরিচিতি লাভ করে। কেননা মানুষের সাথে তাদের উঠাবসা প্রতিদিন ভিড় করে সেখানে হাজারো মানুষ তারা তাদের নিজ হাতে বানর গুলো কে খাবার দিয়ে থাকে।
বিশেষ করে দেখা যাচ্ছে যে উৎসব মুখর দিন গুলোর সময় যেমন বড়দিন, দুর্গাপূজা, ঈদ, পহেলা বৈশাখ, ইত্যাদি এ সময়ের মধ্যে পর্যটকদের ধুম পড়ে বানরগুলো খাবার কোন সংকট পড়ে না।
কিন্তু উৎসবমুখর না থাকলে দর্শনার্থীদের আনাগোনা খুবই কম এবং বানরগুলোর খাবারের সংকট দেখা দেয়। স্থানীয়রা সাধারণত হালকা খাবার প্রদান করে থাকে বিশেষ করে সিংহ ভাগ সময়ই বিভিন্ন লতাপাতা গাছের কান্ড ফলমূল ইত্যাদি খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
|
সামাজিক বানরের চিত্র |
আর এই সময় বানরগুলো মন মরা অবস্থা থাকে তাদের সৌন্দর্য তেমন বাবে প্রকাশ পায় না, কিন্তু উৎসব মুখর দিন সময় বানানগুলো নানা ভঙ্গির মাধ্যমে তাদের সৌন্দর্য কে প্রকাশ করে থাকে। আর একটি কথা না বললেই নয় বানরগুলোর আলাদা একটি বৈশিষ্ট্য আছে তারা কোন রকম মানুষের প্রতি আক্রমণ করে না দর্শনার্থীদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে থাকে। তারা কোন রুপ কোন প্রকার ডিভাইস যেমন ক্যামেরা মোবাইল ফোন ইত্যাদি এদের উপর
|
বানরের ভঙ্গি প্রদর্শনের এর চিত্র |
আক্রমণ করে না তাদের ছবি তুললে তারা নানারকম ভঙ্গি প্রদর্শন করে থাকে। তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পেরে তারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আর একটি কথা না বললেই নয়
বনের ভেতরে পড়ে আছে একরের পর একর খালি ময়দান স্থানীয় প্রভাবশালীরা সেখানে গড়ে তুলছে
মৎস্য খামার এগ্রো ফার্ম। বন থেকে ৩ -৪ কিলোমিটার দূরেই বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন
যেখানে রবার্ট প্রক্রিয়াজাত করণ করা হয়।
বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন রাবার প্রক্রিয়াজাত করণ কারখানা ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ সেখানে রয়েছে হাজারো শ্রমিক কর্মবিমুখ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন যা সন্তোষপুর, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, শ্রমিকরা আনন্দর মাধ্যমেই রবার্ট পরিচর্যা করে থাকে। শ্রমিকরা দলবেঁধে প্রতিনিয়ত সকালবেলা রবার সংগ্রহ করতে চলে যায় রাবার বাগানে। শ্রমিকদের রাবার সংগ্রহ করার মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মনে হয় যেন এক অন্য জগতে চলে এসেছি। তারা তাদের ন্যায্য অনুযায়ী মজুরি দিয়ে থাকে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন।
|
চিত্র: দর্শনার্থীদের চিল |
আর সন্তোষপুর রাবার বাগানের মনমুগ্ধকর সবুজ দৃশ্য যেন সবুজের সমারোহ যেদিকে চোখ যায় সবুজ ঘাস মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখলে মনে হবে এক অন্য জগতে চলে এসেছি প্রত্যেকটি গাছ যেনো স্কেল দিয়ে মেপে মেপে রুর্পণ করা হয়েছে এই মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখেতে কার না ভালো লাগে প্রতিটি গাছের কান্ডে একই সমান্তরালে ছুরি দিয়ে হাল ছাড়ে আর ওই ছেড়া অংশ দিয়ে ভর হয়ে আছে সাদা রঙ্গের কষ।সকাল সকাল কাজ সম্পাদন করে থাকে বাংলাদেশ বনশিল্প কর্পোরেশন সন্তোষপুর ফুলবাড়িয়া ময়মনসিংহ ।
|
চিত্রঃ আলম এশিয়া। |
এখন আপনাদের মনে হয়ত প্রশ্ন জাগবে কেমন করে! আর কিভাবে যাব?
ঢাকা মহাখালী বাস স্টেশন থেকে আলম এশিয়া পরিবহনে (লোকাল সার্ভিস) সরাসরি চলে যেতে পারেন ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদরে। ভাড়া নেবে জন প্রতি ১৮০থেকে ২০০ টাকা। এ বাস সার্ভিসে গেলে সময় একটু বেশি লাগবে। সময় বাঁচাতে চাইলে মহাখালী বাস স্টেশন থেকে এনা পরিবহনে ২৪০ টাকায় চলে যেতে পারবেন ময়মনসিংহের মাসকান্দা কেন্দ্রীয় বাস স্টেশনে । সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদরে যেতে বাস বা CNG ভাড়া জন প্রতি ৪০ টাকা। সেখান থেকে অটো বা CNG পরিবহনে আসতে পরেন কেশরগঞ্জ বাজার ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা। কেশরগঞ্জ থেকে আবার অটো পরিবহনে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন রাবার পরচর্চা কারখানায় চলে যেতে পারবেন ভাড়া নেবে জনপ্রতি ৪০ টাকা। সেখান থেকে ব্রেনগাড়ি যোগে সরাসরি চলেযেতে পরবেন ঐতিহ্যবাহী সন্তোষপুর বা পিকনিক স্পর্ট নতুবা সেখান থেকে গুরতে গুরতে ১০ থেকে ২০ মিনিট হাঁটলেই চলে যেতে পারবেন সন্তোষপুর।
লেখক- মাসুম মিয়া
শিক্ষার্থী জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ ।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
Email : masummiar32@gmail.com
Good
ReplyDeleteআপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা, আরো ভালো কিছু তুলে ধরেন, সাফল্য অৰ্জন করেন
ReplyDeleteইনশাল্লাহ এবং সেই সাথে আপনাকেও ধন্যবাদ
ReplyDeleteঅনেক ভালো লিখেছেন।
Delete