পৃথিবীতে একটি প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ডিভাইস যার নাম মোবাইল ফোন। এপ্রিলে ১৯৭৩ সালে মার্টিন কুপার নামক এক ব্যাক্তি প্রথম বারের মতো আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। পর্যায়ক্রমে আরও অনেক প্রসার ঘটে।
পৃথিবীতে একটি প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ডিভাইস যার নাম মোবাইল ফোন।
এপ্রিলে ১৯৭৩ সালে মার্টিন কুপার নামক এক ব্যাক্তি প্রথম বারের মতো আবিষ্কার করতে সক্ষম হন।
পর্যায়ক্রমে আরও অনেক প্রসার ঘটে।
মোবাইল ফোনের উন্নয়ন ও বিকাশ লাভের জন্য অনেকগুলো ধাপ বা পর্যায় অতিক্রম করতে হয়েছে অতিক্রমের একটি ধাপ বা পর্যায় হলো মোবাইল ফোন প্রজন্ম বা জেনারেশন।একটি প্রজন্ম পরিবর্তনের সময় কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য সংযুক্ত হয়
কিন্তু বর্তমান জেনারেশনের মানুষগুলা এ বিষয়ে অবগত নই, মোবাইল ফোনের প্রজন্মের চারটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক....
১ম জেনারেশনের মোবাইল ফোন
|
১ম জেনারেশনের মোবাইল ফোন (1G)।
# ব্যাপ্তিকাল : ১৯৭৯ থেকে ১৯৯০।
# প্রথম শুরুর স্থান : USA সর্বপ্রথম।
# বাংলাদেশে শুরু স্থান এবং সময়কাল : ১৯৮৯ সালে।
# সিগন্যাল সিস্টেম : অ্যানালগ।
# ওজন এবং উচ্চতা: অনেক বেশি প্রয় ১ কেজির মতো।
# প্রযুক্তি : AMPS, NMT,TACS।
# চ্যালেন অ্যাকসেস সিস্টেম : FDMA।
# সুইচিং টাইপ : সার্কিট সুইচিং।
# ডাটা ট্রান্সফার রেট : ২.৪ kbps।
# মূল বৈশিষ্ট্য : শুধুমাত্র কথা বলার জন্য।
# বিশেষ বৈশিষ্ট্য : ১ম ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন শুরু।
# সাপোর্ট সিস্টেম: শুধু মাত্র কথা বলা।
# ব্যান্ড উইথ : অ্যানালগ।
# অপারেট ফ্রিকুয়েন্সি : ৮০০ MHz।
# ব্যান্ডের (ফ্রিকোয়েন্সি) ধরন : ন্যারোব্যন্ড।
# ফ্রিকোয়েন্সি বাহক : ৩০ KHZ।
# রোমিং সুবিধা : নেই।
# মেমোরি কার্ড: অর্ধপপরিবাহী।
# ইন্টারনেট : ব্যবহার করা জায় না।
# সুবিধা : সংযোগের জন্য সরলতম উপাদানের ব্যবহার।
# অসুবিধা : স্বল্পধারণক্ষমতা অনিরাপদ বিশালাকৃতির যেখানে-সেখানে গ্রহণ করা যায় না
# সুবিধা : সংযোগের জন্য সরলতম উপাদানের ব্যবহার।
# অসুবিধা : স্বল্পধারণক্ষমতা অনিরাপদ বিশালাকৃতির যেখানে-সেখানে গ্রহণ করা যায় না
# ব্যবহার: শুধুমাত্র কথা বলার জন্য।
২য় জেনারেশনের মোবাইল ফোন (2G)।
★ ব্যাপ্তিকাল : ২০০৯ থেকে বর্তমান।
★ প্রথম শুরুর স্থান : South Korea।
★ বাংলাদেশে শুরু স্থান এবং সময়কাল : অপেক্ষণ।
★ সিগন্যাল সিস্টেম : ডিজিটাল।
★ ওজন এবং উচ্চতা: আরো কম।
★ প্রযুক্তি : LTE, WiMAX
★ চ্যালেন অ্যাকসেস সিস্টেম : LTE
★ সুইচিং টাইপ : প্যাকেট সুইচিং
★ ডাটা ট্রান্সফার রেট :১০০ Mbps
★ মূল বৈশিষ্ট্য : উচ্চ গতিসম্পন্ন,প্রকৃত সময়ে সম্প্রচার
★ বিশেষ বৈশিষ্ট: অতিদ্রুত গতি সম্পন্ন।
★ সাপোর্ট সিস্টেম: কথা বলা ডাটা ট্রান্সফার, টেক্স, মেসেজ।সব ধরনের কাজ করা যায়।
★ ব্যান্ড উইথ :১০০ MHz
★ অপারেট ফ্রিকুয়েন্সি : ৮৫০MHz, ১৮০০MHz
★ ব্যান্ড (ফ্রিকোয়েন্সি) ধরন : আলট্রা ব্রডব্যান্ড।
★ ফ্রিকোয়েন্সি বাহক : ১৫ MHz
★ রোমিং সুবিধা : আছে।
★ মেমোরি কার্ড: পরিবাহী।
★ ইন্টারনেট :আলট্রা ব্রডব্যান্ড।
★ সুবিধা : দ্রুতগতি উচ্চগতিসম্পন্ন, হ্যান্ড অফ MiMo,প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী গতিশীলতা।
★ অসুবিধা : বাস্তবায়নে কঠিন, জটিল, হার্ডওয়ার্কের এর ব্যবহার অাছে।
★ ব্যবহার: উচ্চগতিসম্পন্ন কার্যকরী পদ্ধতি মোবাইল, টিভি, সর্বস্তরের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য।
★ উদাহরণ: wi-max, Flash-OFDM ইত্যাদি
★ প্রথম শুরুর স্থান : জাপানে
★ বাংলাদেশে শুরু স্থান এবং সময়কাল : অক্টোবরের, ২০১২ সালে।
★ সিগন্যাল সিস্টেম : ডিজিটাল
★ ওজন এবং উচ্চতা: কম
★ প্রযুক্তি : IMT 2000, WCDMA
★ চ্যালেন অ্যাকসেস সিস্টেম :WCDMA, HSDPA
★ সুইচিং টাইপ : প্যাকেট সুইচিং
★ ডাটা ট্রান্সফার রেট :৩.১ mbps
★ মূল বৈশিষ্ট্য :মাল্টিমিডিয়ার সুবিধা এবং ভিডিও কল করার ব্যবস্থা আছে
★ বিশেষ বৈশিষ্ট্য :ডিজিটাল ব্রডব্যান্ড এবং গতিবিধি, যার ডাটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না
★ সাপোর্ট সিস্টেম: কথা বলার ডাটা ট্যাক্স ছবি ভিডিও বলতে গেলে সব রকম অসুবিধা আছে
★ ব্যান্ড উইথ : ১০০MHz
★ অপারেট ফ্রিকুয়েন্সি :৮৫০ MHz, ৮০০ MHz
★ ব্যান্ড (ফ্রিকোয়েন্সি) ধরন :ব্রডব্যান্ড
★ ফ্রিকোয়েন্সি বাহক : ৫ MHz
★ রোমিং সুবিধা : আছে।
★ মেমোরি কার্ড: পরিবাহী
★ ইন্টারনেট : ব্রডব্যান্ড
★ সুবিধা : উচ্চনিরাপত্তা এবং ইন্টারনেট এর ব্যবস্থা আছে
★ অসুবিধা : উচ্চমাত্রায়, বিদ্যুৎশক্তি কম নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি প্রযুক্তি নিবন্ধন ব্যয়বহুল
★ ব্যবহার:ভিডিও কনফারেশন, টিভি,বিভিন্ন ভিডিও গেম, ইত্যাদি এর আওতাভুক্ত।
★ উদাহরণ: GSM, EDGE,UMTS এবং CDMA-২০০০
৪র্থ জেনারেশনের মোবাইল ফোন |
৪র্থ জেনারেশনের মোবাইল ফোন (4G)।
★ প্রথম শুরুর স্থান : South Korea
★ বাংলাদেশে শুরু স্থান এবং সময়কাল : অপেক্ষণ।
★ সিগন্যাল সিস্টেম : ডিজিটাল।
★ ওজন এবং উচ্চতা: আরো কম।
★ প্রযুক্তি : LTE, WiMAX
★ চ্যালেন অ্যাকসেস সিস্টেম : LTE
★ সুইচিং টাইপ : প্যাকেট সুইচিং
★ ডাটা ট্রান্সফার রেট :১০০ Mbps
★ মূল বৈশিষ্ট্য : উচ্চ গতিসম্পন্ন,প্রকৃত সময়ে সম্প্রচার
★ বিশেষ বৈশিষ্ট: অতিদ্রুত গতি সম্পন্ন
★ সাপোর্ট সিস্টেম: কথা বলা ডাটা ট্রান্সফার, টেক্স, মেসেজ।সব ধরনের কাজ করা যায়।
★ ব্যান্ড উইথ :১০০ MHz
★ অপারেট ফ্রিকুয়েন্সি : ৮৫০MHz, ১৮০০MHz
★ ব্যান্ড (ফ্রিকোয়েন্সি) ধরন : আলট্রা ব্রডব্যান্ড
★ ফ্রিকোয়েন্সি বাহক : ১৫ MHz
★ রোমিং সুবিধা : আছে।
★ মেমোরি কার্ড: পরিবাহী।
★ ইন্টারনেট :আলট্রা ব্রডব্যান্ড।
★ সুবিধা : দ্রুতগতি উচ্চগতিসম্পন্ন, হ্যান্ড অফ MiMo,প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী গতিশীলতা।
★ অসুবিধা : বাস্তবায়নে কঠিন, জটিল, হার্ডওয়ার্কের এর ব্যবহার অাছে।
★ ব্যবহার: উচ্চগতিসম্পন্ন কার্যকরী পদ্ধতি মোবাইল, টিভি, সর্বস্তরের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য।
★ উদাহরণ: wi-max, Flash-OFDM ইত্যাদি।
আপনি সর্বপ্রথম কোন জানারেশনের মোবাইল ফোন
ব্যবহার করছেন অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন?
ধন্যবাদ
COMMENTS